বাড়ির উঠোনে কাজে ব্যস্ত ছিলেন বচুলী এবং পুষ্পা দেবী। নিজেদের মধ্যে গল্প চলছিল, আর সেই সঙ্গে কাজও। কিন্তু তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, উঠোনের এক কোনা থেকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁদের উপর নজর রাখছে এক জন। হঠাৎই একটা গোঁ গোঁ আওয়াজ পেয়ে বচুলী দেবী আওয়াজের উৎসের দিকে নজর ঘোরাতেই ঝড়ের গতিতে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি চিতাবাঘ।
বচুলীকে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পুষ্পা বাঘের দিকে তেড়ে যান। তখন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে চিতাবাঘ। বচুলীকে ছেড়ে এ বার পুষ্পার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটি। চিৎকার করে ছেলেকে ডাকতে শুরু করেন পুষ্পা। তত ক্ষণে বচুলী আহত হয়ে মাটিতে পড়েছিলেন। আর পুষ্পা বাঁচার চেষ্টা করছিলেন।
বাইরে চিৎকারের আওয়াজ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে পুষ্পার ছেলে দেখেন চিতাবাঘ তাঁর মায়ের উপর হামলা করেছে। তৎক্ষণাৎ চিতাবাঘটিকে মারতে যান পুষ্পার ছেলে সুমিত। কিন্তু এ বার পুষ্পাকে ছেড়ে সুমিতের দিকে তেড়ে যায় বাঘ। তাঁকেও আহত করে। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পুষ্পাদের আওয়াজ পেয়ে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু বচুলী এবং পুষ্পা গুরুতর জখম হওয়ায় জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের দ্বারাহাট নগরের ভৌরা গ্রামে।
এই ঘটনার পর গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাঘটিকে ধরার জন্য বন দফতরের কাছে খবর পাঠিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বাঘের কোনও হদিস পাননি বনকর্মীরা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক আরও বেড়েছে ওই গ্রামে।