Canada PM Justin Trudeau

ইস্তফা দিচ্ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো, ঘোষণার পরেই উত্তরসূরি নির্বাচন ঘিরে শুরু তৎপরতা

সোমবার কানাডার সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ন’বছর ধরে প্রধানমন্ত্রিত্ব সামলানোর পরে সরকার এবং দলের দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন ট্রুডো। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা মিলে গেল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০৪
Share:

জাস্টিন ট্রুডো। —ফাইল চিত্র।

দলের অন্দরে অন্তর্বিরোধের জেরে ইস্তফা দিতে চলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল লিবারেল পার্টির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের দলনেতার পদও ছাড়ছেন তিনি। সোমবার ট্রুডো নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। আর তার পরেই ক্ষমতাসীন দলের অন্দরে ট্রুডোর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

Advertisement

সোমবার কানাডার সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ন’বছর ধরে প্রধানমন্ত্রিত্ব সামলানোর পরে সরকার এবং দলের দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন ট্রুডো। আসন্ন নির্বাচনে পরাজয়ের আঁচ পেয়েই তিনি ও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রুডো ইস্তফার ঘোষণা করলেন। লিবারেল পার্টির প্রভাবশালী নেতা তথা প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডর সঙ্গে সংঘাতও ট্রুডোর ইস্তফার অনুঘটক বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই তিন সপ্তাহ আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন ফ্রিল্যান্ড।

তা ছাড়া, সরকার বাঁচাতে খলিস্তানপন্থী নেতা জগমীত সিংহের দল নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থন নেওয়ার কারণেও দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো। তাঁর জমানায় নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক সম্পর্কও তলানিতে ঠেকেছিল। ২০১৩ সালে কানাডার পার্লামেন্টে লিবারেল পার্টি তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়ার পরে দলের নেতৃত্বে এসেছিলেন ট্রুডো। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে আগামী ২০ জানুয়ারি কানাডার প্রতিবেশী আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে সে দেশে নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement