— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্থগিত রাখা হল ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মুখোমুখি বৈঠক। শুক্রবার সংবাদসংস্থা পিটিআই এ খবর জানিয়েছে।
আগামী ১৮ থেকে ২২ নভেম্বরের মধ্যে নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিজি (মহাপরিচালক) পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে বাংলাদেশের তরফে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল বিজিবির ডিজি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকির। কিন্তু শেষমেশ বাংলাদেশের অনুরোধেই পিছিয়ে গেল সেই বৈঠকের দিন ক্ষণ। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের প্রধানদের নেতৃত্বে প্রতি বছরে দু’বার এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়ে থাকে। গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চলতি বছরের নভেম্বর মাসে এই প্রথম বার বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকেই বৈঠক আপাতত বৈঠক স্থগিত রাখার অনুরোধ জানানো হয় বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। তবে ওই বৈঠকের পরবর্তী তারিখ এখনও স্থির হয়নি।
এ প্রসঙ্গে বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ জানিয়েছে, তারা প্রস্তাবিত দিনে বৈঠকে আসতে পারবে না। তবে নতুন তারিখ এখনও স্থির হয়নি। আপাতত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পরিস্থিতি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাংলাদেশে ৫ অগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিজিবির সঙ্গেও যোগাযোগ বেড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী দলের। অন্য দিকে, বিজিবির উপ-মহাপরিচালক (মিডিয়া) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএসএফকে বৈঠক এক মাস পিছোনোর অনুরোধ করেছে বিজিবি। কারণ, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কারণে বিজিবির কর্তারা সারা দেশে মোতায়েন রয়েছেন।’’
বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে এটি ৫৫তম বৈঠক। এই বৈঠকে অংশ নেবে দুই প্রতিবেশী দেশের স্বরাষ্ট্র ও বিদেশ মন্ত্রক, মাদকবিরোধী বিভাগ এবং শুল্ক বিভাগ। থাকবেন দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত রাষ্ট্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরাও। চলতি বছরের মার্চে ঢাকায় শেষবার এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, আগামী বৈঠকে সীমান্তে অপরাধ এবং অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। ভারতের তরফে সে বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ চৌধুরী।