(বাঁ দিক থেকে) শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদী এবং খালেদা জিয়া। —ফাইল চিত্র।
একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের জন্য বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে। মঙ্গলবার সে দেশের আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপির তরফে নয়াদিল্লিকে এই ‘বার্তা’ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, ‘‘হাসিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ দেশের মানুষ তাঁর বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনাদের (ভারত) কাছে অনুরোধ অবিলম্বে তাঁকে হস্তান্তরিত করুন।’’
এর পরেই নাম না করে সরাসরি ভারতকে নিশানা করে আলমগির বলেন, ‘‘এটি দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের প্রতিবেশী দেশ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। সেখানে বসে তিনি বাংলাদেশবাসীর বিজয় ভেস্তে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।’’ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ক্ষমতার পালাবদলের পরে দ্রুত শক্তি সংহত করছে প্রাক্তন শাসকদল বিএনপি। এই আবহে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতার এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, জনবিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ প্রধান হাসিনা। তাঁর পর থেকে বোন রেহানার সঙ্গে দিল্লির ‘নিরাপদ ঠিকানায়’ রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন—এই দুই মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তাঁকে এখন দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।’’ এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ভারতের উপর চাপ বাড়াল খালেদার দল।