গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ জানাতে পাল্টা হুঁশিয়ারির মুখে পড়তে হল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে অহেতুক উত্তেজনা না ছড়িয়ে ইমরান খানকে সংযত থাকার বার্তা দিলেন ট্রাম্প।
ইমরানের সঙ্গে কথা হওয়ার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে এক প্রস্থ আলোচনা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ট্রাম্পকে তখনই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত একান্ত ভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু পাকিস্তান এটা নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে। শুধু তাই নয়, ভারত-বিরোধীও কথা বলছে তারা। যা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির পক্ষে সহায়ক নয়।
হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, মোদীর সঙ্গে কথা হওয়ার পরই ইমরান খানের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ট্রাম্পের। ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ করার চেষ্টা করেন ইমরান। কিন্তু এখানেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ভারতের পাশে দাঁড়িয়েই ইমরান খানকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা উচিত নয় পাকিস্তানের। এ ব্যাপারে তাদের সংযত হতে হবে।”
আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আধ ঘণ্টা ফোনে কথা বললেন মোদী
আরও পড়ুন: কাশ্মীর প্রসঙ্গে আফগান তোপের মুখে পাকিস্তান
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা ভাবে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। কিন্তু বিশেষ লাভবান হয়নি তারা। একমাত্র চিন ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের চার স্থায়ী সদস্যই জানিয়ে দেয়, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে চিনকে পাশে পেয়ে যেন ফের অক্সিজেন পায় পাকিস্তান। চিনের সহযোগিতায় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে চিঠি দেয় তারা। নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও হয়। কিন্তু এই বৈঠকের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় পাকিস্তানের বিপক্ষেই যায়। ফলে সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয় তাদের।