গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ঠিক ২৫ দিনের ব্যবধানে ইরানে প্রত্যাঘাত করল ইজ়রায়েল সেনা। আর সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের এই পদক্ষেপ ঘিরে নতুন করে অশান্তির আবহ তৈরি হল পশ্চিম এশিয়ায়। যদিও নেতানিয়াহুর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমাদের দেশকে নিরাপদে রাখতেই এই পদক্ষেপ।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের দফতর থেকে একটি বিবৃতিতে যুযুধান দু’পক্ষের কাছেই অস্ত্র সংবরণের আবেদন জানানো হয়েছে। অন্য দিকে, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। ইজ়রায়েলি সংবাদমাধ্যমের দাবি, এক ডজনেরও বেশি যুদ্ধবিমান হামলা চালিয়েছে।
শনিবার ভারতীয় সময় ভোর ৪টে নাগাদ ইরানের রাজধানী তেহরান এবং তার অদূরের কারাজ় শহরে পর পর বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। তার কারণটা স্পষ্ট হয় কিছু ক্ষণের মধ্যেই। গত ১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ‘জবাব’ দিয়েছে তেল আভিভ। ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতরে একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষে (বাঙ্কার) ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট। তাঁরা হামলার ‘লাইভ টেলিকাস্ট’ দেখছিলেন। ইজ়রায়েল সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাঘারি ইরানকে হুঁশিয়ারি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে আবার কোনও ভুল করলে এ ভাবেই তার জবাব দেওয়া হবে।’’
সরায়েলি সংবাদমাধ্যম নিউজ় টুয়েলভ জানিয়েছে, শনিবার ভোরে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরে ইরানে ‘দ্বিতীয় দফায়’ হামলা হয়। এই দফায় নিশানা ছিল সিরাজ শহর। ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর দাবি, ইরানের নির্দিষ্ট সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। যদিও ইরান সরকারকে উদ্ধৃত করে পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আল জাজ়িরা জানিয়েছে, গত ১ অক্টোবর ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জড়িত ‘রেভোলিউশনারি গার্ডস অ্যারোস্পেস ফোর্স’-এর কোনও ক্ষতি হয়নি। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম একটি ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করেছে, ইজ়রায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশই সফল ভাবে ধ্বংস করেছে তাদের ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’।