ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। —ফাইল চিত্র।
গাজ়া ভূখণ্ডে গণহত্যা চালানো এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এই বিষয়ে এ বার মুখ খুললেন নেতানিয়াহু। তাঁর দাবি, আইসিসি ‘ইহুদি-বিরোধী’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘আত্মরক্ষার জন্য’ ইজ়রায়েল লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সমাজমাধ্যমে নেতানিয়াহু লেখেন, “হেগের আন্তর্জাতিক আদালত, যার মাথায় এক জন ফরাসি বিচারক রয়েছেন, তারা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং ইজ়রায়েলের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বার বার নিশানা করা হচ্ছে। আমরা যখন সর্বশক্তি দিয়ে নাগরিকদের জীবনহানি বন্ধ করতে চাইছি, তখন আমাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে।”
অপরাধ আদালতের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, গাজ়া ভূখণ্ডে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতে দিচ্ছে না ইজ়রায়েল। আর সেই কারণেই সেখানকার শিশুরা অপুষ্টির শিকার হয়ে মারা যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়। আইসিসি-র এই অভিযোগকে খারিজ করে দিয়ে নেতানিয়াহুর পাল্টা দাবি, গাজ়ায় অন্তত ৭০ হাজার টন খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে ইজ়রায়েল। একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, যাবতীয় ত্রাণসামগ্রী লুট করছে হামাস।
অপরাধ আদালতের বিচারকদের তোপ দেগে নেতানিয়াহু বলেন যে, “হামাস জঙ্গিরা মহিলাদের ধর্ষণ করলে, মানুষের গলা কাটলে, শিশুদের জীবন্ত পুড়িয়ে ফেললে কোনও পদক্ষেপ করা হয় না। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় নেতানিয়াহু ছাড়াও নাম রয়েছে ইজ়রায়েলের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট এবং হামাস নেতা মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরি ওরফে মোহাম্মদ দেইফের। যদিও ইজ়রায়েলি সেনার একটি সূত্রের দাবি, তাদের হানায় আগেই মৃত্যু হয়েছে দেইফের।