Sub Inspector Suspended

‘অপেশাদার’ কাজের জন্য সাসপেন্ড বারাবনি থানার এসআই, মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ মন্তব্যের পরেই তৎপরতা

বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, টাকার বিনিময়ে কয়লা এবং বালি পাচারের মতো অবৈধ কারবারে সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের নিচুতলার একাংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৪০
Share:

(বাঁ দিকে) বারাবনি থানার সাব ইনস্পেক্টর (এসআই) মনোরঞ্জন মণ্ডল। সাসপেনশনের নির্দেশ সম্বলিত চিঠি (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

নিচুতলার পুলিশদের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই দিনই অপেশাদার কাজ এবং কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বারাবনি থানার সাব ইনস্পেক্টর (এসআই) মনোরঞ্জন মণ্ডলকে সাসপেন্ড করল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। বারাবনি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকও ছিলেন মনোরঞ্জন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার নবান্নে পুলিশের নিচুতলার একাংশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, যিনি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও বটে। মমতা অভিযোগ করেন, টাকার বিনিময়ে কয়লা এবং বালি পাচারের মতো অবৈধ কারবারে সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের নিচুতলার একাংশ। তিনি বলেন, “সিআইএসএফের একাংশ বা পুলিশের একাংশ টাকা খেয়ে চুরি করবে— এটা আমি হতে দেব না।” মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ এবং এই মন্তব্যের পরেই পুলিশ এবং প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েক জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। যেমন শুরু হয়েছে বারাবনি থানার এসআই-এর বিরুদ্ধেও।

আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধরির স্বাক্ষর সম্বলিত একটি নথি আনন্দবাজার অনলাইনের হাতে এসেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে বারাবনি থানার এসআই-এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার কথা বলা হয়েছে। এ-ও বলা হয়েছে, সাসপেনশনে থাকার সময় মূল বেতনের অর্ধেক পাবেন ওই পুলিশ আধিকারিক। তবে অন্যান্য ভাতা তিনি পাবেন বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত ওই এসআই-কে পুলিশের কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র আসানসোল পুলিশ লাইনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

অন্য দিকে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বালি পাচার কয়লা পাচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ খোলার পরেই সক্রিয় হয়েছে সিআইডিও। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই অভিযানে নেমেছে তারা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজ্য গোয়েন্দা দফতর সিআইডির সর্ব স্তরে রদবদলের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স এবং ‘অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো’-কে আরও শক্তিশালী করারও নির্দেশ দেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement