এ বছর তিন দিনের পুজো আয়োজন। ফাইল ছবি
কাশের বনে দোলা দিয়ে, শরতের আকাশে সাদা তুলোর মতো মেঘগুলোকে ভাসাতে ভাসাতে, শিউলি ফুলের গন্ধ মেখে সুদূর বাংলা থেকে আগমনী বার্তা বয়ে আনা বাতাস যেন আটলান্টিকের তীরেও বইছে। অন্য বারের তুলনায় এ বছর পুজোর আমেজ, আনন্দ, অনুভূতি সবই ঢের বেশি। দীর্ঘদিনের সাধ আর অপেক্ষার অবসান হল। ২০১৯ সালে কলকাতার কুমোরটুলিতে দেখে আসা মা দুর্গা পর্তুগালের লিসবন শহরে পৌঁছলেন। মাঝে কেটেছে ভয়ঙ্কর অন্ধকারময় অতিমারি। সেই অসুরই যেন দশভুজার কাছে পরাস্ত হল।
কুমোরটুলিতে প্রশান্ত পালের গড়া মাতৃপ্রতিমা। রাজা বসুর সহযোগিতায় পৌঁছেছে লিসবনে। ‘ভূমি—ইন্ডিয়ান কালচারাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে এই প্রথম প্রতিমা এনে আমরা সবাই মাতৃ অরাধানায় মেতে উঠেছি। ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিব্ল কালচারাল হেরিটেজ’ তকমা পাওয়া দুর্গাপুজোর আনন্দকে অপামর বাঙালি, অবাঙালি ও বিদেশিদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য।
লিসবনের ভারতীয় দূতাবাস এবং আরয়োস প্যারিশ কাউন্সিল আমাদের পুজোয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বছর তিন দিনের আয়োজন। ষষ্ঠী আর সপ্তমীর পুজো ২ অক্টোবর, রবিবার। অষ্টমী ৩ অক্টোবর, সোমবার। নবমী আর দশমী ৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার। দুর্গা পুজোর দিনগুলো আরও আকর্ষণীয় করার জন্য নানা রকমের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ছোট মেলার আয়োজন রাখা হয়েছে। ছোট-বড়, দেশি-বিদেশি সবাই দুর্গাপুজোর আনন্দ উৎসবে মেতে উঠুক এবং খুশির রং ছড়িয়ে যাক চার দিকে।