Chittagong Explosion

চট্টগ্রামের অক্সিজেন কারখানায় আবার উদ্ধারকাজ শুরু, মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা

মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বিস্ফোরণের সময় কারখানায় কত জন শ্রমিক কাজ করছিলেন তা-ও জানা যাচ্ছে না। একটি একটি করে সিলিন্ডার তোলার কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চট্টগ্রাম শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ১২:১২
Share:

সকাল হতেই উদ্ধারকাজ শুরু চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। ছবি: রয়টার্স।

শনিবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন কারখানায় আবার উদ্ধারকাজ শুরু হল। শনিবার রাত ১০টার পর উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। রবিবার ভোর থাকতেই আবার নেমে পড়েন উদ্ধারকারীরা। লন্ডভন্ড কারখানায় এলোমেলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের তলায় আরও মৃতদেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। এখনও পর্যন্ত কারখানায় বিস্ফোরণে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত তিরিশেরও বেশি। এখনও খোঁজ নেই কারখানার মালিকের।

Advertisement

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন কারখানায় দিনে মোট তিন শিফটে কাজ হয়। শনিবার বিকেলে সিলিন্ডারে অক্সিজেন ভরার (রিফুয়েলিং) কাজ চলছিল। সেই সময় বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে চারপাশ। জানা গিয়েছে, কারখানাটিতে মোট ১৫০ শ্রমিক কাজ করেন। প্রতি শিফটে থাকেন কমবেশি ৫০ জন। সিলিন্ডারে গ্যাস ভরতে গিয়েই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে দমকল। বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’কে চট্টগ্রাম দমকলের উপসহকারি পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘‘বিস্ফোরণে পুরো অক্সিজেন কারখানাটি লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। এলোমেলো অবস্থায় সিলিন্ডার পড়ে রয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, মালিকপক্ষের কোনও দায়িত্বপ্রাপ্তের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হয়নি। তাই বোঝা যাচ্ছে না সিলিন্ডারের নীচে আরও কেউ চাপা পড়়ে রয়েছেন কি না। বিস্ফোরণের সময় কারখানায় কত জন শ্রমিক কাজ করছিলেন তা-ও জানা যাচ্ছে না। একটি একটি করে সিলিন্ডার তোলার কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা।

বিস্ফোরণের অভিঘাত এতই তীব্র ছিল যে কারখানার আশপাশে প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় সমস্ত বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। লোহার টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে চারদিকে। কারখানাস্থল থেকে বেশ খানিকটা দূরে বাড়ির দাওয়ায় বসে থাকা এক ব্যক্তির মাথায় উড়ে এসে পড়ে একটি বিশাল লোহার টুকরো। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, যে লোহার টুকরোটি উড়ে এসেছিল তার ওজন অন্তত ৩০০ কেজি।

Advertisement

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মূলত শিল্পাঞ্চল এলাকা। পর পর সারি দিয়ে একের পর এক কারখানা। এই এলাকায় দুর্ঘটনা-বিস্ফোরণের ঘটনাও বিরল নয়। গত বছর ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডেরই কেশবপুরে বিএম ডিপোতে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়। তাতে প্রাণ হারান ৫০ জন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল সীতাকুণ্ড।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement