Pakistan

জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অন্তর্ঘাত? প্রাক্তন আইএসআই প্রধানকে গ্রেফতার করতে পারে পাকিস্তান

পাকিস্তান সেনার এক সূত্রের দাবি, সেনা অভ্যুত্থানে উস্কানি দেওয়া, তোলাবাজি এবং দেশের রাজনীতিতে একটা ডামাডোল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে মদত দিয়েছেন আইএসআইএয়ের প্রাক্তন প্রধান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ১১:৪৪
Share:

আইএসআইয়ের প্রাক্তন প্রধান ফইজ হামিদকে কি গ্রেফতার করা হবে? ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএএসআইয়ের প্রাক্তন প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফইজ হামিদের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাক সেনার এক সূত্রের খবর, তেহরিক-ই-তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন আইএসএআই প্রধান। আর সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আসাদ আলি নামে এক পাক সাংবাদিক দাবি করেছেন।

Advertisement

সেনার ওই সূত্রের দাবি, সেনা অভ্যুত্থানে উস্কানি দেওয়া, তোলাবাজি এবং দেশের রাজনীতিতে একটা ডামাডোল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে মদত দিয়েছেন ফইজ। শুধু তাই-ই নয়, তেহরিক-ই-তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের ভিতরে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা, খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত জোগানোরও অভিযোগ উঠেছে এই প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে অনেক প্রামাণ্য তথ্য হাতে এসেছে সরকারের। এমনই দাবি পাক সেনার ওই সূত্রের।

ওই সূত্রের খবর, গত বছরে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল পাক সেনা। কিন্তু তার পরেও আচমকা সেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে দেশের নানা প্রান্তে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলা চালাচ্ছে। এর নেপথ্যেও নাকি সেই আইএসআইয়ের প্রাক্তন প্রধানেরই হাত রয়েছে। যুদ্ধবিরতির জন্য নাকি টিটিপির থেকে প্রচুর অর্থ নিয়েছিলেন ফইজ। কিন্তু যখন তিনি জানতে পেরেছিলেন যে, দেশের পরবর্তী সেনাপ্রধানের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না, টিটিপিকে তিনিই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর তার পর থেকেই দেশে টিটিপির হামলা বেড়েছে। সিএনএন-নিউজ ১৮-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশে কেন এত জঙ্গি হামলা বাড়ছে, এ ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকাই বা কী, তা জানার জন্য পার্লামেন্টে আইএসআইয়ের প্রাক্তন প্রধানকে ডাকা হতে পারে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও অভিযোগ করেছিলেন, দেশে জঙ্গি হামলার সংখ্যা বৃদ্ধিতে ফইজেরই হাত রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement