গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর এক সপ্তাহ আগে নিষিদ্ধ করেছিলেন তাদের। কিন্তু পালাবদলের পর ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)-র দাপট ক্রমশ বাড়ছে। দেড় মাসের মধ্যে ঢাকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করলেন জামাত নেতারা।
জামাত নেতাদের কাছে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছিলেন জাতীয় সংসদের পরবর্তী নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না। এ কথা জানিয়ে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লা মহম্মদ তাহের বলেন, ‘‘আমরা বলেছি, কোনও দলের পক্ষে-বিপক্ষে আইনগত কোনও বিষয় নিয়ে আমরা কোনও মতামত দিচ্ছি না।’’ ওই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণ, নাগরিক সমাজ এবং পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দেওয়ার কথাও রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদের বলেছেন জামাত নেতারা।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় সংসদের পরবর্তী নির্বাচনের আয়োজন করবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ইতিমধ্যেই হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার দাবি তুলেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি অন্তর্বর্তী সরকার।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করেছিলেন। রাজাকার ঘাতকবাহিনীর নেতা হিসাবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতার বিরুদ্ধে। হাসিনা জমানায় কয়েক জনের সাজাও হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামাতের নির্বাচনী প্রতীক বাতিল করেছিল। গত ৩০ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সরকার ‘মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধী’ জামাত তাদের শাখা সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ৫ অগস্ট পালাবদলের পরে বদলে যায় পরিস্থিতি।