— প্রতীকী চিত্র।
দলীয় ইস্তাহারের প্রথম ভাগে মহিলাদের জন্য ঘোষণার পরে দ্বিতীয় ভাগে পড়ুয়া-যুবাদের জন্য এক গুচ্ছ পরিকল্পনা ঘোষণা করতে চলেছে বিজেপি, যা হবে সঙ্কল্পপত্রের দ্বিতীয় ভাগ। আগামিকাল সেটি প্রকাশিত হওয়ার কথা।
সূত্রের মতে, ঘোষণাপত্রে পড়ুয়াদের জন্য নানা ধরনের বৃত্তির সুবিধা, উচ্চশিক্ষায় ঋণের সুবিধা, বেকার যুবকদের বৃত্তিমুখী প্রশিক্ষণ এবং ব্যবসা করতে চাইলে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে নানাবিধ প্রকল্পের কথা থাকতে পারে। সঙ্কল্পপত্রের তৃতীয় ভাগে আমজনতার কথা মাথায় রেখে আরও একাধিক ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তার আগে আজ একটি ফাঁকা খাতা তুলে ধরে অরবিন্দ কেজরীওয়াল দাবি করেছেন, ‘‘খাতা যেমন শূন্য, বিজেপিরসাফল্যও শূন্য।’’
উল্টো দিকে আজ ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর সঙ্গে আম আদমি পার্টির ‘সম্পর্ক’ নিয়ে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। এত দিন কংগ্রেসের সঙ্গে ওই গ্যাং-এর সম্পর্ক রয়েছে বলে আক্রমণ শানাত বিজেপি।
এ যাত্রায় দু’দলকে একাসনে বসিয়ে বিজেপি সাংসদ অনুরাগঠাকুর বলেন, ‘‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-এর সদস্য যারা ভারত-বিরোধী স্লোগান দিয়েছিল, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেস ও আপ। ওই গ্যাং-এর সদস্যদের ভোটে টিকিট দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল। পঞ্জাবে নির্বাচন জিততে জঙ্গিদের প্রতি সহমর্মী ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। কেন গিয়েছিলেন, তার জবাব চায় দিল্লিবাসী।’’
আপের প্রাক্তন কাউন্সিলর তাহির হুসেনকে নিয়েও আজ প্রশ্ন তোলে বিজেপি। ২০২০ সালে দিল্লি দাঙ্গা মামলায় ওই কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাহিরের প্রত্যক্ষ ভূমিকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁকে বহিষ্কার করে আপ। এ বারে মুস্তাফাবাদ আসন থেকে এমআইএম-এর টিকিটে লড়ছেন ওই বাহুবলী নেতা। বর্তমানে জেলে বন্দি তাহির প্রচারের জন্য প্যারোলে মুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আজ শুনানিতে বলেছে, এই ধরনের লোকেদের ভোটে লড়তে দেওয়াই উচিত নয়।
বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি এর পরে বলেছেন, ‘‘কেজরীওয়ালের ভান্ডারে এমন যে কত রত্ন আছে কে জানে! এই তাহিরকে বাঁচাতে এক সময়ে সক্রিয় ছিলেন কেজরী।’’