বাংলাদেশে অগ্নিমূল্য পেঁয়াজের দাম। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোট সামনে ভারতের। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন তারও অনেক আগে। নির্বাচনের মুখে ভারত থেকে ঢাকায় পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে (২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত) ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ঢাকায়। সূত্রের খবর, ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার এই খবর পাওয়ার আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। নিষেধাজ্ঞার খবর আসার পর থেকে দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। যা ভোটের মুখে হাসিনা সরকারের পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগের।
ভারত ইতিপূর্বে অগস্ট মাসে যখন প্রথম পেঁয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, তখনও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছিলেন। এর পর থেকে পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতা শুধু বেড়েছে। ভারতের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আজ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে বলা হয়েছে, “আমরা এর আগেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে বলেছি পেঁয়াজ বা আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রফতানি বন্ধ করার কয়েক সপ্তাহ আগে আমাদের আগাম জানিয়ে দিতে। তা হলে আমরা বিকল্প জোগানের ব্যবস্থা করতে পারি অন্য দেশ থেকে। ভারত নিজেরা না খেয়ে আমাদের দেবে এমনটা আমরাও আশা করি না। কিন্তু ভারতের সঙ্গে আমাদের পরিবহণ সংযোগ এখন এতটাই সুগম যে, সে দেশ থেকে পণ্য আনা সব চেয়ে সহজ। ফলে আগে থেকে না জানিয়ে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে সমস্যা তৈরি হয় আমাদের বাজারে।”
বাংলাদেশ সূত্রে এটাও বলা হচ্ছে, সে দেশের বাজারে পেঁয়াজের মজুত এতটা কমে যাওয়ারও কারণ নেই যে বাজারে বিরাট সঙ্কট দেখা যাবে। একাংশের মত, অতিরিক্ত মুনাফার লোভে সে দেশের বড় ব্যবসায়ীরা তাঁদের হাতে থাকা পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি না করে মজুত করছেন বলেই পেঁয়াজের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি হয়েছে এবং রাতারাতি মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।