Terrorist

গত মাসে ইউরোপে ঢোকে হামলাকারী

এক মাসের মাথায় পর পর দু’বার ‘ইসলামি সন্ত্রাসের’ শিকার হওয়া ফ্রান্সকে আজ ‘ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক দিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিস শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিসের গির্জায় ছুরি হামলায় ধৃত তিউনিশীয় যুবক গত মাসেই ইটালিতে ঢুকেছিল বলে জানালেন তদন্তকারীরা। ব্রাহিম আউইসাউই নামে বছর ৩১-এর ওই অভিবাসী যুবক নৌকা করে লাম্পেডুসাদ্বীপে এসেছিল। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে ফ্রান্সে ঢুকেছিল সে। কাল নিসের ওই ব্যাসিলিকায় তিন জনকে হত্যা করার পরে পুলিশের হাতে পাকড়াও হয় যুবকটি। আজ তার পরিচিত ৪৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকেও আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

এক মাসের মাথায় পর পর দু’বার ‘ইসলামি সন্ত্রাসের’ শিকার হওয়া ফ্রান্সকে আজ ‘ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক দিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। নিসের মেয়র জানান পুলিশের গুলিতে ঘায়েল হওয়ার পরেও ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছিল ওই যুবক। হাসপাতালে ওষুধের ঘোরে আচ্ছন্ন অবস্থাতেও তার মুখে ছিল একই কথা। তিউনিশিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী আদালতেও ব্রাহিমের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে। আইনজীবীরা জানান, ২০ সেপ্টেম্বর ইউরোপে ঢুকেছিল সে। আফ্রিকা থেকেআসা অভিবাসীরা মূলত লাম্পেডুসা দ্বীপেই ওঠে। বৃহস্পতিবার ভোরে সেখান থেকে ট্রেনে নিসে পৌঁছয় সে। তিউনিশীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী হিসেবে পুলিশের খাতায় নাম ছিল না ওই যুবকের। ব্রাহিমের বড় ভাই সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, ‘‘ওর মধ্যে কখনও কট্টরপন্থী মনোভাব দেখিনি। দেশ ছাড়ার কথাও আমাদের আগে জানায়নি। ও ইটালিতে গিয়েছে শুনে আমরা অবাক হয়েছিলাম।’’

কালকের এই ঘটনার পরে আজও থমথমে নিস শহর। নোত্র দামের কাছাকাছি একটি রেস্তরাঁর ওয়েটার ড্যানিয়েল কনিল জানিয়েছেন, গত কাল সকাল ৯টার কিছু আগে গুলির শব্দ শোনা যায়। প্রাণভয়ে সবাই ছুটতে শুরু করে। এই ঘটনায় ‘সন্ত্রাসী খুনের’ মামলা শুরু করেছে ফরাসি প্রশাসন। তারা জানাচ্ছে, ব্রাহিমকে পুলিশ গুলি না করলে আরও বেশি লোককে খুন করত সে। তার ব্যাগ থেকে অব্যবহৃত দু’টি ছুরি পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানা আজ বলেছেন, ইসলামি সন্ত্রাসী মতাদর্শের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ চলছে দেশে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা কোনও বিশেষ ধর্মের বিরুদ্ধে লড়ছি না। আমরা ইসলামি কট্টরপন্থী ভাবাদর্শের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি।’’ সর্ব ধমের মানুষকে একজোট থেকে বিদ্বেষের ভাবনাকে দূরে সরিয়ে রাখার আর্জি জানিয়েছেন মাকরঁও।

গত কালের এই ঘটনার পরে ফ্রান্সে জাতীয় সুরক্ষা সংক্রান্ত সতর্কতা চূড়ান্ত করা হয়েছে। গির্জা, স্কুলের মতো জায়গাগুলিতে সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার করা হয়েছে। আজ নোত্র দামের বাইরে নিহতদের স্মৃতিতে ফুল ও মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মানুষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement