সিরিয়ায় সেনা অ্যাকাডেমিতে ড্রোন হানা। ছবি: রয়টার্স।
সিরিয়ার সেনার প্রধান প্রশিক্ষণ শিবিরে ড্রোন হামলায় অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা দু’শোর বেশি। বৃহস্পতিবার বিকেলে হোমস শহরে সেনা অ্যাকাডেমিতে এই ড্রোন হামলার ঘটনায় এখনও কোনও সংগঠন দায় স্বীকার করেনি। তবে মনে করা হচ্ছে, স্থানীয় বিদ্রোহী বাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
সিরিয়ায় সরকারি সংবাদমাধ্যম সানা জানিয়েছে, হামলার সময় ওই সেনা অ্যাকাডেমিতে সদ্য প্রশিক্ষণ শেষ করা ক্যাডেটদের ‘গ্র্যাজুয়েশন’ অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে উচ্চপদস্থ সেনাকর্তা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের সদস্যেরাও হাজির ছিলেন। তাঁদেরও অনেকে নিহত হয়েছেন। সেই তালিকায় নারী ও শিশু রয়েছে। তবে সিরিয়া পরিস্থিতি সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’-এর দাবি, হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০-র অনেক'টাই বেশি।
শুক্রবার সিরিয়া সেনা অভিযোগ করেছে, সেনা অ্যাকাডেমিতে হামলায় আন্তর্জাতিক শক্তির মদত রয়েছে। আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ার মদতেপুষ্ট বিদ্রোহীরাই বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোনের ঝাঁক পাঠিয়ে এই হামলা চালিয়েছে বলে ইঙ্গিত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারের। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোনগুলি উড়ে এসেছিল হোমসের উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে। ওই অঞ্চল পশ্চিমী মদতেপুষ্ট বিদ্রোহী বাহিনীর ঘাঁটি বলে পরিচিত।