International News

পাকিস্তানকে হতাশ করল ‘বন্ধু’ও! দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সমস্যা মেটানোর ডাক চিনের

শি চিনফিং সরকারের বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তান এবং ভারত দুপক্ষকেই আমরা আহ্বান জানাই যা বিতর্ক আছে, আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নিক। কোনও পক্ষেরই উচিত নয়, একতরফা ভাবে কিছু পরিবর্তন করা। সবারই উচিত উত্তেজনা প্রশমনে সচেষ্ট হওয়া।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৯ ১৭:৩৩
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ‘বন্ধু’ চিনের কাছে গিয়েও কার্যত হতাশই হতে হল পাকিস্তানকে। ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লিকে আলোচনা ও পারস্পারিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের আর্জি জানিয়েই কার্যত দায় সারল বেজিং। এমনকি, ৩৭০ অনুচ্ছেদের উল্লেখ পর্যন্ত নেই তাদের বার্তায়। চিন সফরে রয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। বেজিং সূত্রে খবর, ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে হইচই করার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, তাতে চিনকে পাশে পেতেই কুরেশির এই সফর।

Advertisement

কুরেশির বেজিং সফর ঘিরে চিনের তরফে একটি বিবৃতি শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাতে শি চিনফিং সরকারের বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তান এবং ভারত দুপক্ষকেই আমরা আহ্বান জানাই যা বিতর্ক আছে, আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নিক। কোনও পক্ষেরই উচিত নয়, একতরফা ভাবে কিছু পরিবর্তন করা। সবারই উচিত উত্তেজনা প্রশমনে সচেষ্ট হওয়া।’’

অর্থাৎ ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশকে একই বন্ধনীতে রেখে বয়ান দিল বেজিং। যদিও পাকিস্তান ভারতের ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়াকে ‘একতরফা’ বলে উল্লেখ করেছিল। চিন অবশ্য আলাদা করে ৩৭০ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করেনি।

Advertisement

আরও পডু়ন: কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, বদল হয়নি আমেরিকার অবস্থান, মার্কিন বার্তায় স্বস্তি নয়াদিল্লির

আগামী ১১ অগস্ট তিন দিনের বেজিং সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে। ১২ অগস্ট ভারত-চিন চতুর্থ মিডিয়া সামিট ফোরামে যৌথ বিবৃতি দেবেন দুই বিদেশমন্ত্রী। তার আগেই পাক বিদেশমন্ত্রীর সফর গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পডু়ন: কাশ্মীর নিয়ে হস্তক্ষেপের পাক দাবিতে কান দিল না রাষ্ট্রপুঞ্জ, দু’দেশকেই সংযত থাকার আর্জি

আরও পড়ুন‌: গুলাম নবির পরে এ বার শ্রীনগরে ঢুকতে দেওয়া হল না ইয়েচুরিকে

৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর জম্মু কাশ্মীরের চেয়েও বেজিংয়ের বেশি মাথাব্যথা ভারত-চিন সীমান্তের লাদাখ নিয়ে। ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ায় বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। পাশাপাশি জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলের মাধ্যমে লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ আগেই করেছিল চিন। ৫ অগস্ট রাজ্যসভায় ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পরের দিনই বেজিংয়ের প্রতিক্রিয়া ছিল, নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তে চিনের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement