গাজ়ায় নতুন করে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারে হামাস। —ফাইল চিত্র।
গাজ়ায় নতুন করে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারে হামাস। ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনি স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী তিন দেশের তরফে মঙ্গলবার এই ইঙ্গিত মিলেছে। আমেরিকা, মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় ওই শান্তিবৈঠক চলাকালীনই অবশ্য ইজ়রায়েল ফৌজ দক্ষিণ গাজ়ার খান ইউনিসে একটি হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে তিন সাধারণ নাগরিককে গুলি করে খুন করেছে ইজ়রায়েল সেনা।
আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রধান উইলিয়াম বার্নসও গত রবিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গিয়ে ইজ়রায়েল এবং মধ্যস্থতাকারী তিন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করেন। গত সপ্তাহে ইজ়রায়েল সরকার বন্দি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলেও হামাসের তরফে তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠীর তরফে অভিযোগ করা হয়, এর আগে দু’বার যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেই অসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল ফৌজ।
অবশ্য তার পরে হামাস নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক আদালত যুদ্ধবিরতির আবেদন জানালে তা মেনে নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ই়জ়রায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজ়ার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। তাদের বোমা এবং গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ২৫ হাজারেরও বেশি সাধারণ প্যালেস্টাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গাজ়ায় ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার যুক্তি দিয়েছিল, হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে আত্মরক্ষার অধিকার ইজ়রায়েলের রয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হামাসকে সমর্থনের অভিযোগও এনেছিল জেরুসালেম।