প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮৭ মাইল গতিবেগে এগোতে পারে অ্যালিস। ছবি: সংগৃহীত।
চিরাচরিত জ্বালানীর পরিবর্তে পুরোপুরি বিদ্যুৎচালিত যাত্রিবাহী বিমান উড়ল আমেরিকার ওয়াশিংটনের আকাশে। আমেরিকার সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে ওয়াশিংটনের গ্র্যান্ট কাউন্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আট মিনিটের সংক্ষিপ্ত যাত্রা করে অ্যালিস নামের এই বিমানটি। যদিও উদ্বোধনী উড়ানে কোনও যাত্রী ছিলেন না।
অ্যাভিয়েশন এয়ারক্রাফ্ট নামে ইজ়রায়েলের এক বিমান সংস্থার পরিশ্রমের ফসল এই বিমানটি। প্রথম উড়ানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,৫০০ ফুট উপরে ওঠেছিল এটি। সংস্থার প্রেসিডেন্ট তথা সিইও গ্রেগরি ডেভিস এই উড়ানকে ‘ঐতিহাসিক’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চাশের দশকের পর এই প্রথম বিমানে পুরোপুরি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হল।’’
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বা মোবাইল ফোনের মতোই মাত্র আধ ঘণ্টায় চার্জ দেওয়া যাবে এই বিমানটিতে। ন’জন যাত্রীকে নিয়ে তা এক ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারবে। গতি, ঘণ্টা প্রতি প্রায় ৪৪০ নটিক্যাল মাইল। প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ নটস বা ২৮৭ মাইল গতিবেগে এগোতে পারে অ্যালিস।
মঙ্গলবারের প্রথম উড়ানের পর এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করবে অ্যাভিয়েশন। ২০১৫ সালের এই সংস্থার আশা, আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে তা যাত্রী পরিবহণে সক্ষম করে তুলতে পারবে তারা। সব কিছু পরিকল্পনামাফিক চললে ২০২৭ সালের মধ্যেই এই বিমানটি যাত্রীদের নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে বলে মনে করছে অ্যাভিয়েশন।
বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, যাত্রিবাহী, বিলাসবহুল (এগ্জিকিউটিভ) এবং মালবাহী বিমান— আপাতত অ্যালিসের এই তিনটি সংস্করণ পরীক্ষানিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। যাত্রিবাহী বিমানে ন’জন যাত্রী-সহ দু’জন বিমানচালক বসতে পারবেন। এগ্জিকিউটিভ বিমানে হাত-পা ছড়িয়ে ছ’জন যাত্রীর জায়গা হবে। অন্য দিকে, মালবাহী অ্যালিসে আয়তনের ৪৫০ ঘনফুট জায়গায় মালপত্র রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।