ইমরান খান (ফাইল চিত্র)।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই নাটকীয় ভাবে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে পাকিস্তানের মসনদ খুইয়েছিলেন ইমরান খান। মসনদ খোয়ানোর পর প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান দাবি করেছিলেন, তাঁকে দেশের শীর্ষপদ থেকে অপসারণের পিছনে আমেরিকার হাত আছে। তারপর থেকে আমেরিকার বাইডেন প্রশাসনের দিকে একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করেন তিনি। ঘটনার প্রায় চার মাস পর আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে উদ্যোী হল ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তার জন্য এক পেশাদার সংস্থার শরণাপন্নও হয়েছে তারা।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক ইমরান সেই সময় অভিযোগ করেছিলেন, আমেরিকার জনৈক কূটনীতিক ডোনাল্ড লু নাকি আমেরিকার তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে হুমকির সুরে বলেছেন, “ইমরান যদি আস্থাভোটের পর গদি টিকিয়ে রাখতে পারেন, তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা এগোবে।” ইমরান দাবি করেছিলেন, এই কথার মধ্যেই তাঁকে পদচ্যুত করার চক্রান্তের ইঙ্গিত ছিল। সেই সময় ইমরানের দল পিটিআই স্লোগান দিয়েছিল, “আমেরিকা কা জো ইয়ার হ্যায়, গদ্দর হ্যায়।” অর্থাৎ, “যারা আমেরিকার বন্ধু তারা আসলে বিশ্বাসঘাতক।” স্পষ্টতই, এই স্লোগানের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান শেহবাজ শরিফ এবং তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিগ লিগ (নওয়াজ)।
এ বার আমেরিকার প্রতি বিরাগ ভুলে নতুন করে সুসম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হলেন ইমরান। তার জন্য একটি বিদেশি সংস্থার সঙ্গে মাসিক পঁচিশ হাজার ডলারের একটি চুক্তি করেছে ইমরানের দল। প্রাথমিক ভাবে সংস্থাটি মূলত ইমরানের দলের সঙ্গে আমেরিকা প্রবাসী পাকিস্তানি নাগরিকদের সুসম্পর্ক তৈরি করবে।
পাকিস্তান প্রশাসনের জনৈক আধিকারিক উজেইর ইউনুসের এই তথ্যও সামনে এনেছেন যে, ইমরানের প্রধানমন্ত্রিত্ব কালে গত মার্চ মাসেও পাকিস্তানের দূতাবাসের তরফে এই সংস্থাটির সঙ্গে মাসিক ত্রিশ হাজার ডলারের বিনিময়ে চুক্তি হয়েছিল।