Mohammad Deif

সামরিক প্রধান দেইফের মৃত্যুর কথা স্বীকার করল হামাস, যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে তিন পণবন্দিকে মুক্তি

শুক্রবার হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের সামরিক শাখা আল কাশিম ব্রিগেডের প্রধান মহম্মদ দেইফের মৃত্যু হয়েছে ইজ়রায়েলি বিমানহানায়। গত জুলাইয়ে এই দাবি করেছিল ইজ়রায়েল সেনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৩৮
Share:

নিহত মহম্মদ দেইফ। — ফাইল চিত্র।

ইজ়রায়েল সেনা দাবি করেছিল ছ’মাস আগেই। অবশেষে গাজ়ার স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসও তা মেনে নিল।

Advertisement

শুক্রবার হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের সামরিক শাখা আল কাশিম ব্রিগেডের প্রধান মহম্মদ দেইফের মৃত্যু হয়েছে ইজ়রায়েলি সেনার হানায়। সামরিক শাখার উপপ্রধান মারওয়ান ইশার নিহত হওয়ার খবরও মেনে নিয়েছে হামাস। প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার সেনা সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, দক্ষিণ গাজ়ার খান ইউনিসে বিমান হামলায় দেইফ নিহত হয়েছেন।

দু’দশক আগে একবার বিমান হানা থেকে কোনও ক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন দেইফ। সেই হামলায় এক চোখ, এক হাত এবং এক পা হারিয়েছিলেন। হারিয়েছিলেন নিজের ভাই এবং পরিবারের আরও দুই সদস্যকে। তার পর থেকে হুইলচেয়ারই তাঁর সঙ্গী ছিল। ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ দেইফের নিখুঁত পরিকল্পনাতেই ইহুদিদের পবিত্র দিবস ‘সিমহাত টোরা’র দিনে ইজ়রায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী।

Advertisement

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি ছিল, ৭ অক্টোবরের হামলার ছক কষায় দেইফের সঙ্গী ছিলেন গাজ়ায় হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গত অক্টোবরে বিমান হামলায় সিনওয়ারের মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, ইজ়রায়েলি সামরিক পর্যবেক্ষক আগাম বারগারের পরে আরও দুই ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে বৃহস্পতিবার মুক্তি দিয়েছে হামাস। সঙ্গে তাইল্যান্ডের পাঁচ পণবন্দিকেও। তাঁদের রেড ক্রস কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। বিনিময়ে ইজ়রায়েল ১১০ জন জেলবন্দি প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement