taliban

Taliban in Afghanistan: কাঁটাতারের উপর দিয়ে সন্তানকে বিমানবন্দরে ছুড়ে দিচ্ছেন মা, দেখে চোখে জল ফৌজিরও

সেনা আধিকারিক বলছেন, ‘‘বিশ্বাস করবেন না, আমি দেখেছি, কারওর সন্তান ওই কাঁটাতারে আটকে গিয়ে ঝুলছে। এ দৃশ্য কোনওদিন ভুলতে পারব না।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২১ ১৩:০৩
Share:

ফাইল চিত্র

কাঁটাতারের উপর দিয়ে শিশুকে বিমানবন্দরে ছুড়ে দিচ্ছেন মা। আর্ত চিৎকার করে বলছেন, আমার সন্তানকে অন্তত আপনারা বাঁচান! কাবুল বিমানবন্দরের এই দৃশ্য চোখে জল এনে দিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটিশ সেনারও।

Advertisement

কাবুল এয়ারপোর্টের একাংশ আমেরিকা ও ব্রিটেনের বাহিনী ঘিরে ফেলেছে কাঁটাতার দিয়ে। তারের ওপারে দিন, রাত ভিড় করে আছেন সাধারণ মানুষ। বিমানবন্দরে ঢুকে তালিবানি শাসিত আফগানিস্তান ছাড়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। আর অন্য দিকে দাঁড়িয়ে সেই করুণ দৃশ্য দেখে চোখে জল ধরে রাখতে পারছেন না সেনাকর্মীরাও। কারণ, সেই ভিড়ের মধ্যে থেকে মাঝে মাঝে সন্তানকে ছুড়ে বিমাবন্দরের মধ্যে ফেলছেন মায়েরা। চিৎকার করে বলছেন, যাতে অন্তত ওই সন্তানকে কেউ নিরাপদে অন্য দেশে নিয়ে গিয়ে রাখে।

এই দৃশ্যের কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কেঁদে ফেললেন এক বৃটিশ সেনা আধিকারিক। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে বারবার ভেঙে পড়লেন তিনি। বললেন, ‘‘সকালেই দায়িত্বে থাকাকালীন কাঁটাতারের ওপার থেকে সন্তানদের ছুড়ে ফেলতে দেখেছি। রাতে ফিরে আমার পরিবারের কথা মনে পড়েছে। সন্তানদের কথা মনে পড়েছে। বিশ্বাস করবেন না, আমি দেখেছি, কারওর সন্তান ওই কাঁটাতারে আটকে গিয়ে ঝুলছে। এ দৃশ্য কোনওদিন ভুলতে পারব না।’’ বলেই কেঁদে ফেলেন তিনি। তিনি জানান, মেয়েরা সন্তানকে ছুড়ে দিয়ে ভিতরে থাকা সেনাদের ধরতে বলছেন। বলছেন অন্য বিমানে তুলে দিতে। যদি তাতে কোনও ভাবে প্রাণে বাঁচানো যায় তাদের। যদিও শিশুদের উদ্ধারের বিষয়ে আর সাহায্য করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে আমেরিকা।

Advertisement

তালিবান কাবুল দখল করার পর থেকে জীবন বাঁচানোর এক মরিয়া চেষ্টা দেখা গিয়েছে বিমানবন্দর চত্বরে। দিনরাত শুধু আর্ত মানুষের চিৎকার, হাহাকার আর কান্নার শব্দ ঢেকে দিয়েছে অন্য যে কোনও শব্দকে। প্রতিদিনই কাবুল বিমানবন্দরের জন্য সকাল থেকে ছুটছেন সাধারণ মানুষ। ভিড় করছেন। শেষে বিমাবন্দরে ঢুকতে না পেরে রাতে আবারও ফিরে যাচ্ছেন, থাকছেন রাস্তায়, প্রাণ হাতে করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement