সিডনি পাওয়েল। ছবি: সংগৃহীত।
কলেজ থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কথা মায়ের থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন বহুদিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মা জেনে যাওয়ায় চরম পথ বেছে নিয়েছিলেন ২৩ বছরের যুবতী সিডনি পাওয়েল। প্রথমে লোহার পাত্র দিয়ে ঘায়েল করে। তার পর ছুরি দিয়ে নির্মম ভাবে ৩০ বার কুপিয়ে মাকে খুন করেছিলেন সিডনি। ২০২০ সালের এই ঘটনায় মঙ্গলবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সামিট কাউন্টি প্রসিকিউটর অফিস। তাঁকে হত্যা, নির্মম হামলা এবং প্রমাণ লোপাটের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রায় শোনার পর আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সিডনি।
আদালত সূত্রে খবর, ২০২০ সালের ৩ মার্চ সিডনি তাঁর মা ব্রেন্ডা পাওয়েলকে প্রথমে লোহার পাত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করেন এবং তার পর মায়ের গলায় ৩০ বার কোপ বসান। পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিডনি যখন তাঁর মায়ের উপর হামলা করেন তখন ব্রেন্ডা সিডনির কলেজ মাউন্ট ইউনিয়ন ইউনিভার্সিটির আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
শুনানি চলাকালীন সিডনির আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেল স্কিৎজ়োফ্রেনিয়ায় ভুগছিলেন। তাই তাঁকে হত্যার জন্য দায়ী করা যায় না। তাঁদের আরও দাবি ছিল, সিডনি যখন তাঁর মাকে হত্যা করেছিলেন তখন তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এই দাবির সঙ্গে আদালত নিযুক্ত মনোবিজ্ঞানী একমত হননি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ফের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিনই সিডনির সাজা ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে।