প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান থেকে প্রাকৃতিক পর্যটনস্থল, সবই নানা সময় পর্যটকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে সঙ্কটের মুখে পড়েছে। কোথাও স্থাপত্য পড়ে সঙ্কটের মুখে, কোথাও আবার প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হয় সময়ে সময়ে। তেমনই এক সঙ্কটের মুখে পড়েছে স্পেনের একটি সমুদ্র সৈকত। সে দেশের প্রশাসন সূত্রে খবর, স্পেনের বিখ্যাত গ্র্যান ক্যানেরিয়া দ্বীপপুঞ্জে একাধিক ‘সেক্স স্পট’ তৈরি হয়েছে। যে স্থানগুলিতে যৌনতায় লিপ্ত হচ্ছেন পর্যটকরা। সেখানে পড়ে থাকছে প্লাস্টিক, কন্ডোমের প্যাকেটের মতো জিনিস। দিনের পর দিন সেই জঞ্জালের স্তুপ তৈরি হচ্ছে সেই স্থানগুলিতে। তাতে বালিয়াড়ি পড়েছে দূষণের মুখে। যা নিয়ে চিন্তিত স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা।
পরিবেশ ম্যানেজমেন্টের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। এই গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে ওই সমুদ্র সৈকতে মোট ২৯৮টি সেক্স স্পট রয়েছে। তার মধ্যে বেশির ভাগই সৈকতের কোনও গাছের আড়ালে। যেখানে গাছপালার আড়াল বেশি, সেখানেই যৌনতার গোপন আস্তানা গড়ে তুলছেন পর্যটকরা। শত নিষেধ করেও লাভ হচ্ছে না। সৈকতে বেশ কয়েকটি এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশাধিকার নেই, সেখানেও নিষেধ উপেক্ষা করে পর্যটকরা ঢুকে প়়ড়ছেন, সেখানে আছে ৫৬টি সেক্স স্পট।
শুধু প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, এমনটা নয়। বিভিন্ন স্থানে পর্যটকরা শৌচকর্ম করে রাখছেন। তাতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা জানিয়েছেন, ওই প্লাস্টিক পেটে যাচ্ছে সমুদ্র তীরবর্তী প্রাণীদের। যাতে অকারণ প্রাণহানী হচ্ছে একাধিক প্রাণীর। সাধারণত এই ধরনের দ্বীপপুঞ্জের ক্ষেত্রে বালিয়াড়িগুলির প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক থাকা একান্তই জরুরি। দ্বীপপুঞ্জগুলির পরিবেশ ঠিক রাখতে প্রশাসনকেও আপ্রাণ চেষ্টা করতে হয়, না হলে ছোট্ট দ্বীপের বাস্তুতন্ত্রে প্রভাব পড়তে পারে। সেই কারণেই এই নিয়মহীন যৌনতার উৎসব নিয়ে চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনের।