মাটির তলায় লুকিয়ে রাখা ৮০০ বছরের পুরনো সোনার সুড়ঙ্গের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। খোঁজ মিলল যোদ্ধাদের গোপন সদর দফতরেরও।
এখন শুধু খোঁড়াখুঁড়ি করে সেই সম্পত্তি তুলে আনার অপেক্ষা। উন্নত প্রযুক্তির লেসার প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ন্যাশনাল জিযোগ্রাফিক চ্যানেলের বিজ্ঞানী লিন এবং তাঁর দল সম্প্রতি এই খোঁজ পেয়েছেন। চ্যানেলে তা সম্প্রচারও করা হয়েছে। লিন জানিয়েছেন, একাদশ শতকে ধর্মযুদ্ধের সময় ইজরায়েলের শহর একরির নীচে খ্রিস্টান যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিলেন।
ধর্মযুদ্ধ ছিল ইজরায়েলকে মুসলিম আধিপত্য থেকে মুক্ত করার, সেখানে খ্রিস্টধর্মের সূচনা করার। ধর্মযুদ্ধের সময় ইজরায়েলের ওই শহরই ছিল যোদ্ধাদের সদর দফতর।
সদর দফতর যাতে সহজে খুঁজে না পাওয়া যায়, তার জন্য একরি শহরের মাটির অনেকটা নীচে ওই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল। গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে সদর দফতরে পৌঁছতেন যোদ্ধারা।
এই সুড়ঙ্গ দিয়েই তাঁরা যুদ্ধের প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং সঙ্গে প্রচুর সোনা নিয়ে যেতেন।
তবে অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, এই গোপন সুড়ঙ্গ সোনার মতো মূল্যবান সম্পদ নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেনাদের লুকিয়ে থাকা এবং বিপদে পড়লে অন্যত্র পালাবার রাস্তা হিসাবেও ব্যবহার করা হত।
এতদিন সেই সুড়ঙ্গ এবং সদর দফতরের কথা জানা থাকলেও, তার প্রকৃত অবস্থান জানা ছিল না।
এই প্রথম ৮০০ বছরের পুরনো সেই সুড়ঙ্গের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানী লিন। তবে এই সুড়ঙ্গ মাটির ঠিক কতটা নীচে রয়েছে এবং তার বিস্তৃতি কতটা জায়গা জুড়ে রয়েছে তা জানার চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
ইজরায়েলের একরি শহরে মাটির উপরে থাকা খ্রিস্টান ধর্মযোদ্ধাদের সদর দফতরের ধ্বংসস্তূপ এখনও রয়েছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, আরও ভাল করে খোঁড়াখুড়ি করলে ধর্মযোদ্ধাদের লুকিয়ে রাখা অনেক সোনা উদ্ধার করা যাবে মাটির নীচের ওই সদর দফতর এবং সুড়ঙ্গ থেকে।