Bangladesh Crisis

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগে ৭০ জন গ্রেফতার, জানাল মুহম্মদ ইউনূসের সরকার

মঙ্গলবার বাংলাদেশের তদারকি সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেসসচিব মহম্মদ শফিকুল আলম জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় ৮৮টি মামলা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:২০
Share:

বাংলাদেশের তদারকি সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে সোমবারই তদারকি সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। এ হেন ঘটনা বাংলাদেশ সরকার যে বরদাস্ত করে না, ভারতের বিদেশসচিবকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন তদারকি সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার ঠিক পরের দিনই, মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, গত ৫ অগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এর পরেও বেশ অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তাই পরবর্তীতে এই সংক্রান্ত মামলা এবং গ্রেফতারির সংখ্যা বাড়বে বলে জানাল বাংলাদেশ সরকার।

Advertisement

মঙ্গলবার বাংলাদেশের তদারকি সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেসসচিব মহম্মদ শফিকুল আলম জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় ৮৮টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ৭০ জন। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগেই এই মামলাগুলি দায়ের হয়েছে। পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান শফিকুল।

বাংলাদেশের অশান্তির ঘটনা প্রসঙ্গে শফিকুল বলেন, ‘‘অক্টোবর পর্যন্ত হিসাব পাওয়া গিয়েছে। তার পর যা ঘটনা ঘটেছে, তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। বুধবার সেই তালিকা পাওয়া যাবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যাঁরা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।’’ কোনও রাজনৈতিক দলের রং না দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান শফিকুল।

Advertisement

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ঢাকা এবং নয়াদিল্লির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। সেই আবহেই সোমবার ঢাকায় যান ভারতের বিদেশসচিব। প্রথমে তিনি বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মুহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সঙ্গে। পরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মিস্রী। তিনটি বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়— যার মূল নির্যাস উভয় পক্ষই সুসম্পর্ক চায়। এ ছাড়াও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগের বিষয়টিও উঠেছিল দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে।

বৈঠক শেষে ভারতের বিদেশসচিব জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং উন্নয়ন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি। সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশসচিব পরে জানান, সে দেশে বসবাসরত সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীন ভাবে নিজেদের ধর্মচর্চা করছেন। এ ব্যাপারে কোনও ধরনের বিভ্রান্তির জায়গা নেই। বাংলাদেশ সরকার এমন ঘটনা কোনও ভাবেই মেনে নেবে না, তা-ও বৈঠকে ভারতের বিদেশসচিবকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন জসীম উদ্দিন। তার পরই মঙ্গলবার অশান্তির অভিযোগের পরিসংখ্যান দিল ইউনূস প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement