বাংলাদেশের সংসদ ভবন। ছবি: সংগৃহীত।
শনিবার ঢাকার সমাবেশে ঘোষণার পরে রবিবার সকালে সংসদের স্পিকার শিরিন শরমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বিরোধী দল বিএনপি-র সাত সাংসদ। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংসদ সচিবালয় সংসদীয় আসনগুলি শূন্য বলে ঘোষণা করার পরে বিধি অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে তারা উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
শনিবার খালেদা জিয়ার দল বিএনপি ঢাকার গোলাপবাগের সমাবেশে জানায়, ‘কারচুপির ভোটে’ জেতা শেখ হাসিনার আওয়ামি লীগের সরকারকে তারা অবৈধ বলে মনে করে। এই সরকারের ইস্তফার দাবিতে তারা আন্দোলনে নামছে। তার আগে সংসদে বিএনপি-র যে ৭ জন সদস্য রয়েছে, তারা পদত্যাগ করবে। রবিবার সকালে বিএনপির পাঁচ সাংসদ স্পিকারের দফতরে হাজির হয়ে হাতে হাতে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বলেন, ‘আবার আসিব ফিরে’। বাকি দু’জন সাংসদের এক জন অসুস্থ থাকায় প্রতিনিধির হাত দিয়ে স্পিকারের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন। অন্য জন বিদেশে থাকায় স্পিকারের ই-মেলে পদত্যাগ পত্র পাঠান। স্পিকার চৌধুরী জানান, বিধি অনুযায়ী সশরীর হাজির হয়ে পদত্যাগ করার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু প্রতিনিধির হাত দিয়ে পাঠানো পত্রটি যে ওই সাংসদের, সংসদের সচিবালয়কে তা যাচাই করে নিশ্চিত হতে হয়। তাই ছয়টি আসন শূন্য বলে ঘোষণা করতে সমস্যা হবে না। সপ্তম বিএনপি সাংসদ হারুন-অর রশিদ ই-মেলে যে পদত্যাগ পত্রটি পাঠিয়েছেন, তাতে স্বাক্ষরটি স্ক্যান করে বসানো। এটা আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁকে নিজেস্বাক্ষর করে আবার পদত্যাগ পত্র পাঠাতে হবে।
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার মোহম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, সংসদ সচিবালয় সাংসদদের পদত্যাগ পত্র যাচাইয়ের পরে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে সংসদীয় আসনগুলিকে শূন্য বলে ঘোষণার পরেই তাঁদের কাজ শুরু হবে। জাতীয় নির্বাচন এখনও বছর খানেক দেরি থাকায় উপনির্বাচন হবে। বিধি মেনে ৯০ দিনের মধ্যেই কমিশন উপনির্বাচন করবে।