পুলিশি প্রহরার মাঝে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছেন দুষ্কৃতীরা। ছবি: সংগৃহীত।
দিনেদুপুরে আদালত চত্বর থেকে কড়া পুলিশি প্রহরার মাঝে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছেন দুষ্কৃতীরা। পুলিশের চোখে ধুলো নয়, ছেটানো হয়েছে লঙ্কাগুঁড়ো গোলা জল। বাংলাদেশের এই ঘটনায় আদালতের দায়িত্বে থাকা পুলিশের পরিদর্শক-সহ পাঁচ পুলিশকর্তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করল সরকার।
বাংলাদেশের লেখক তথা সমাজকর্মী অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রবিবার। পুলিশের হাতের মুঠো থেকে তাঁদের ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই দুই জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিজিৎ ছাড়াও একাধিক হত্যার অভিযোগ রয়েছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জঙ্গিদের পালানোর এই ঘটনা সারা দেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ করল বাংলাদেশ সরকার। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাদের গাফিলতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
জানা গিয়েছে, রবিবার বেলা ১টা নাগাদ খুনের আসামি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে নিয়ে আদালতে যায় পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়ার পর তাঁদের কারা পুলিশের হাতে স্থানান্তরিত করার সময় হামলে পড়েন এক দল দুষ্কৃতী। তাঁরা প্রথমেই কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো গোলা জল স্প্রে করেন। তার পর পুলিশ কর্মীদের মারধরও করা হয়। এই সুযোগে বাইকে তুলে নেওয়া হয় দুই জঙ্গিকে। তার পর তাঁদের নিয়ে চম্পট দেন দুষ্কৃতীরা। সিসিটিভি ফুটেজে কিছু দূর পর্যন্ত তাঁদের দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তার পর আর খোঁজ মেলেনি।
রবিবারের এই ঘটনার পর জঙ্গিদের খোঁজে বাংলাদেশ জুড়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের খোঁজ দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে পুলিশ।