প্রতীকী ছবি।
নিজেদের বাড়ি থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চার জনের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হল আইওয়ায়। নিহতদের মধ্যে রয়েছে দুই নাবালক। আইওয়ার ওয়েস্ট ডে ময়েন এলাকার ঘটনা। প্রথমে ওই বাড়িরই এক অতিথির নজরে আসে চার জনের দেহ। তিনি আশপাশের বাসিন্দাদের খবর দেন। তাঁরা ৯১১-য় ফোন করে পুলিশকে সব জানান।
শনিবারের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ওয়েস্ট ডে ময়েনের ওই বাড়িতে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বছর ৪৪-এর চন্দ্রশেখর সুনকারা। তিনি আইওয়ার জননিরাপত্তা দফতরের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, চন্দ্রশেখর আদতে অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর স্ত্রী লাবণ্য একটি সফটওয়্যার সংস্থায় কাজ করতেন। শনিবার সুনকারা দম্পতি ও তাঁদের দুই ছেলের গুলিবিদ্ধ দেহ দেখতে পান বাড়িরই এক অতিথি। সম্প্রতি ভারত থেকে ওই চার জন গিয়ে ওয়েস্ট ডে ময়েনে সুনকারাদের সঙ্গে থাকছিলেন। তাঁদেরই এক জন দেহগুলি দেখে সাহায্যের খোঁজে বিভ্রান্তের মতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সুনকারা দম্পতির বড় ছেলের বয়স ছিল ১৫, ছোটটির ১০। চার জনের দেহই ছিল গুলিতে ঝাঁঝরা। কী ভাবে তাঁদের মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। এ ক্ষেত্রে বাড়ির ওই অতিথিদের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। এত গুলি চলল, চার জন খুন হয়ে গেলেন, অথচ অতিথিদের কানে কিছুই এল না? এটা কিছুটা সন্দেহের চোখেই দেখছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু বলতে পারছে না তারা। পুলিশ শুধু জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।
এই ঘটনার পরে এলাকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাসিন্দাদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, এ নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই। এই ঘটনায় জাতিবিদ্বেষগত হামলার সম্ভাবনাও প্রাথমিক ভাবে উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এলাকার ভারতীয় বংশোদ্ভূতেরাও জানাচ্ছেন, এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম ঘটল। ‘‘এত বছর এখানে আছি, ভারতীয়দের উপরে এই ধরনের হামলা দেখিনি। চন্দ্রশেখররা খুবই ভাল ছিলেন। সবার সঙ্গে সদ্ভাব ছিল। কেন এ রকম হল, বুঝতে পারছি না,’’ বলেছেন শ্রীকার সোমায়াজুলা নামে এক ভারতীয়। ওয়েস্ট ডে ময়েনের তেলুগু সংগঠনের সদস্যেরা আপাতত ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। চন্দ্রশেখরদের দেহ দ্রুত ভারতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন তাঁরা।