কাতারের পথে কলকাতার ইআইআইএলএম-এর পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র।
ফুটবলের বিশ্বকাপ চলাকালীন কাতারে শিক্ষানবিশির সুযোগ পেয়ে নিজেদের দক্ষতায় শান দিয়ে নিচ্ছেন কলকাতার ইআইআইএলএম-এর পড়ুয়ারা। সে দেশের দু’টি ফুটবল স্টেডিয়াম এবং বিলাসবহুল হোটেলেও হাতেকলমে কাজ শিখছেন শহরের এই প্রতিষ্ঠিত হোটেল এবং ম্যানেজ়মেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৪ জন পড়ুয়া। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কয়েকটি সঙ্গীতানুষ্ঠানের সময় কাজ দেখানোরও সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা।
বিলাসবহুল হোটেলেও হাতেকলমে কাজ শেখার সুযোগ পেয়েছেন এ শহরের ইআইআইএলএম-এর ২৪ জন পড়ুয়া। —নিজস্ব চিত্র।
বিদেশি পরিবেশে নিজেদের মেলে ধরার ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা সারা জীবনের পুঁজি হয়ে থাকবে কলকাতার ইস্টার্ন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটেড লার্নিং ইন ম্যানেজ়মেন্ট ইউনিভার্সিটি (ইআইআইএলএম)-র এই শিক্ষানবিশদের। কাতারের সেন্ট রেজিস দোহা এবং ওয়ারউইক দোহা— এই দুই অভিজাত হোটেলে শিক্ষানবিশি করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া, বিশ্বকাপের সময় লুসেইল এবং এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামেও কেটারিং এবং গাড়ি পার্কিংয়েও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তাঁরা। এ সবই ছিল তাঁদের কাজের অঙ্গ।
ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
২০ নভেম্বর ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ওই পড়ুয়ারা। তার আগে গত মাসের ৪ তারিখ লুসেইল স্টেডিয়ামে একটি সঙ্গীতের আসরেও অতিথিদের সেবায় ছিলেন তাঁরা। ওই অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল ময়াঙ্ক চ্যাং এবং রাহাত ফতে আলি খানের মতো তারকা গায়কদের। দেখা গিয়েছে সেলিম-সুলেমানের মতো সুরকারের ছটা। ২৯ নভেম্বর কাতারের করনিশের ফ্যান ফেস্টিভ্যালেও কাজ করার সুযোগ এসেছিল পড়ুয়াদের। যেখানে বলিউডের মোহময়ী নোরা ফতেহির উপস্থিতি আলো ছড়িয়েছিল।
বস্তুত, বাংলার নানা প্রান্ত থেকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ শিখতে আসা পড়ুয়ারা যে অন্য সংস্কৃতির ছোঁয়া পেলেন, তা এককথায় অমূল্য!