—প্রতীকী চিত্র।
ট্রেন চালানোর সময়ে চালকের মতোই গুরুত্বপূর্ণ সহকারী চালকের ভূমিকা। সিগন্যাল যথাযথ ভাবে দেখে বোঝা এবং তা চিৎকার করে চালককে জানানোর দায়িত্ব থাকে তাঁর। দু’জনেরই মানসিক সক্রিয়তা সমান ভাবে বজায় রাখতেই এই ব্যবস্থা। ট্রেন চালানোর সময়ে মোবাইলের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অতীতে ক্লান্তি, আকস্মিক ঘুম-সহ নানা কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় বিশাখাপত্তনম-রায়গড় এক্সপ্রেস পালাসা এক্সপ্রেসের পিছনের দিকের কামরায় ধাক্কা মারে। প্রথম ট্রেনটি সিগন্যাল উপেক্ষা করে এগিয়ে গেলেও চালক বা সহ-চালক, কেউই ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
এমন বিপত্তি এড়াতেই পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ইলেক্ট্রিক লোকো শেডের চালকদের নিয়ে সম্প্রতি বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। সিগন্যাল অতিক্রম করার মতো বিপদের ক্ষেত্রে কী ভাবে আপৎকালীন আর এস ভালভ ব্রেক প্রয়োগ করতে হবে, তা শেখানো হয় হাতেকলমে। ওই বিশেষ প্রয়োগ সহকারী চালকের অধীনে থাকে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপদ রাখতে পূর্ব রেল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ পূর্ব রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ‘‘প্রায় ১৫০০টি সহকারী চালকের পদ ফাঁকা। এ ছাড়াও প্রায় ৪০০টি চালকের পদ ফাঁকা। ফলে কাজের চাপ অস্বাভাবিক। তার সুরাহা না করে কর্মশালা করাটা সমাধান নয়।’’