—নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে অস্বস্তির মধ্যেও বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাল শাসকদল। নদিয়ার চাপড়া বিধানসভা এলাকার দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তত তিন শতাধিক বিরোধী নেতা-কর্মী জোড়াফুলে নাম লিখিয়েছেন বলে দাবি শাসকদলের। তৃণমূলের দাবি, যাঁরা যোগদান করেছেন, তাঁদের কেউ সিপিএম, কেউ কংগ্রেস, কেউ আবার বিজেপি। চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমানের হাত ধরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
এ বার লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে জয়ের সম্ভাবনা দেখেছিল বিজেপি। নির্বাচনের ফলাফলে জয় না এলেও চাপড়া বিধানসভার মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ভোট শতাংশ বাড়িয়েছিল তারা। অন্য দিকে, রাজ্যে কোনও দাগ না কাটতে পারলেও চাপড়া বিধানসভায় যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে গেল। এই নিয়ে তৃতীয় বার যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হল তৃণমূলের তরফে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাপড়া বিধানসভা এলাকার চাপড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগানপাড়া এলাকায় একটি যোগদান কর্মসূচিতে বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। শুক্রবার সকালে ফের আরও একটি যোগদান সভায় বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বিরোধী দলগুলির শতাধিক কর্মীরা। দ্বিতীয় যোগদান সভাটি অনুষ্ঠিত হয় রানাবন্ধের হাটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
চাপড়ার বিধায়ক তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, ‘‘মানুষের চেতনা ফিরতে দেরি হয়। তাই যোগদানে কিছুটা দেরি হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলিতে উন্নয়ন হচ্ছে। সেটা অন্য দলের জনপ্রতিনিধিরা দেখছেন। সেই উন্নয়নযজ্ঞে যোগদান করতেই তাঁরা তৃণমূলের ছাতার তলায় এলেন।’’ কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘ভয় দেখিয়ে দলবদলের প্রবণতা সারা রাজ্য জুড়ে চলছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিরোধীদের তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করছে শাসকদল।’’