প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গিতে আবার মৃত্যু কলকাতায়। বেলেঘাটার হাসপাতালে শুক্রবার রাতে ডেঙ্গিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সি এক মহিলা। নদিয়ার রানাঘাটের ধানতলার বাসিন্দা তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর আসার কারণে প্রথমে মহিলাকে রানাঘাটের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জ্বর না কমায় সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণীর হাসপাতালে। কল্যাণী হাসপাতালে চিকিৎসার পরেও কিছুতেই সুস্থ হয়ে না ওঠায় তাঁকে কলকাতার বেলেঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেলেঘাটা হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন তিনি। আইসিইউ-তে চিকিৎসা চলাকালীন শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় মহিলার। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি।
গত শনিবারই শহরে ডেঙ্গিতে প্রাণ হারিয়েছে দশ বছরের এক নাবালিকা। শনিবার পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। কলকাতার পিকনিক গার্ডেনে তার বাড়ি। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে। ডেঙ্গির উপসর্গ ছিল। তার মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখও রয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসন সতর্ক হয়েছে। ডেঙ্গি রুখতে পুরপ্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। ডেঙ্গি আক্রান্তদের প্লেটলেট দেওয়ার নির্দেশিকাও প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যভবন।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, কলকাতা-সহ আশপাশের কিছু জায়গায় ডেঙ্গি হলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়নি। ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া গেলে সতর্ক হয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যেন ডেঙ্গি ছড়াতে না পারে। কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার ডেঙ্গি আক্রান্তদের প্লেটলেট দেওয়ার নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রক্তপাত ছাড়া রোগীর প্লেটলেট ১০ হাজারের নীচে নামলে প্লেটলেট দেওয়া যেতে পারে। রক্তপাত ছাড়া ১০ হাজার থেকে ২০ হাজারের মধ্যে প্লেটলেট কাউন্ট হলে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই।তবে বেশি রক্তপাত হলে, সে ক্ষেত্রে রোগীর প্লেটলেট ২০ হাজারের বেশি থাকলেও পরিস্থিতি বুঝে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন। সময় নষ্ট না করে যাতে ব্লাড ব্যাঙ্ক দ্রুত প্লেটলেট ব্যবস্থা করতে পারে, তার জন্য প্লেটলেটের রিক্যুইজিশনে রোগীর রক্তের গ্রুপ পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করতে হবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে।