গ্রাফিক। শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যগুলিকে এড়িয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকার ফের বিদুৎ আইন বদলে সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে সেই আশঙ্কার কথা জানিয়ে মমতা লিখেছেন, জনবিরোধী ‘বিদ্যুৎ আইন (সংশোধনী) বিল ২০২০’ যেন সংসদে পাশ করানোর চেষ্টা না হয়।
চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ পরিষেবা সংবিধানের যৌথ তালিকার অন্তর্ভুক্ত। তা সত্ত্বেও রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা ছাড়া দেশের বিদ্যুৎ আইনে কেন্দ্র গত বছর থেকে বদল আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘২০২০ সালের ১২ জুন চিঠি লিখে আমি ওই বিতর্কিত বিলে খামতির দিকগুলি আপনার কাছে তুলে ধরেছিলাম’।
নয়া বিদ্যুৎ আইনের খসড়ার বলা হয়েছে, বিদ্যুতের বিলের পুরো টাকা প্রথমে গ্রাহকদের তা দিতে হবে। পরে ভর্তুকির টাকা তাঁরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেরত পেয়ে যাবেন। কিন্তু ফলে বহু গ্রাহক টাকার অভাবে ঠিক সময়ে বিল মেটাতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে ক্ষেত্রে গ্রামের গরিবদের অনেকেরই বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা পড়বে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রস্তাবিত নয়া বিদ্যুৎ আইন দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানতে পারে বলেও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। মোদী সরকারের প্রস্তাব, বিদ্যুৎ পরিবহণ, সংবহণ বা ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত আইনি বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য একটি পৃথক সংস্থা গঠন করা হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলির অধিকার খর্ব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রসঙ্গত, নয়া আইন চালু হলে বিদ্যুৎ মাসুল বাড়বে বলেও এর আগেই প্রকাশ্যে অভিযোগ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।