প্রতীকী ছবি।
পুলিশ অফিসারের কিশোরী মেয়ে প্রায় ১১ মাস ধরে নিখোঁজ। তাকে খুঁজে বার করে দেওয়ার জন্য জলপাইগুড়ি আদালতের সার্কিট বেঞ্চে ‘হেবিয়াস করপাস’ বা সশরীরে হাজিরার আবেদন করল রাজ্য পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার ওই অফিসারের পরিবার।
বৃহস্পতিবার আইনজীবী শুভঙ্কর দত্তের মাধ্যমে কোচবিহারের বাসিন্দা ওই নিখোঁজ কিশোরীর দাদা হেবিয়াস করপাস করেন। হেবিয়াস করপাস হল নিখোঁজকে খুঁজে বার করে হাজির করানোর জন্য আদালতে আর্জি। ওই কিশোরীর মা ও দাদা সেই আবেদনই জানিয়েছেন। আইনজীবী জানান, ২০১৮-র ১১ নভেম্বর তুফানগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা, ওই পুলিশ অফিসারের বছর ষোলোর মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। তার মা থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করেন। পরে তাঁরা জানতে পারেন, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। একই দিন থেকে সেই যুবকও নিখোঁজ।
কিশোরীর দাদা ১২ নভেম্বর ওই যুবক এবং তার তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে তুফানগঞ্জ থানায় এফআইআর করেন। পুলিশ মূল অভিযুক্তের দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করলেও কিশোরী এবং মূল অভিযুক্তের হদিস পায়নি। কেটে যায় মাসের পর মাস। ধৃত দুই যুবক জামিন পেয়ে যায়। কিশোরীর বাবা কয়েক জন সহকর্মীর সাহায্যে নিখোঁজের ১৫ দিনের মাথায় মূল অভিযুক্তের মোবাইলের অবস্থান খুঁজে বার করেন। দেখা যায়, সেটি নয়ডায়। থানায় সব জানান তিনি। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও কিশোরীর খোঁজে পুলিশ নয়ডায় যায় দু’মাস পরে। তার আগে কিশোরীর পরিবার সেখানে গেলেও ফিরে আসে খালি হাতে।
বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর দাদা বলেন, ‘‘মাস চারেক আগে একটি অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে দিদিকে ফোন করেছিল বোন। ফোনে মেয়েটি জানায়, তাকে কোথাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তবে কোথায় বিক্রি করা হয়েছে, কিশোরী তা বলতে পারেনি। পরে সেই মোবাইলে ফোন করে আর সাড়া পাওয়া যায়নি। সেটি তখন বন্ধ।’’ পরের দিনই তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি জানান। এ বারেও পুলিশ তৎপরতা দেখায়নি বলেই পরিবারের অভিযোগ। কিশোরীর মা জেলার পুলিশ সুপার থেকে জলপাইগুড়ির ডিআইজি অফিস, এমনকি নবান্নে চিঠি পাঠিয়েও কোনও সাড়া না-মেলায় বৃহস্পতিবার কিশোরীর দাদা আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর আবেদন, ‘‘আপনারা বোনকে খুঁজে বার করতে সাহায্য করুন।’’