শ্বশুরবাড়ি-সহ সমস্ত জায়গায় খোঁজ করেও স্ত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। দাবি কোলাঘাটের যুবকের। প্রতীকী ছবি।
দিন চারেক আগে পিকনিকে করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকেই তাঁর ফোন সুইচড অফ। আচমকাই বেপাত্তা বছর ছাব্বিশের তরুণী স্ত্রী। এমনই দাবি করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের এক বাসিন্দা। স্ত্রীর খোঁজে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কোথায় গেলেন ওই তরুণী? তিনি কি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন, নাকি তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে? এ নিয়ে এখনও অন্ধকারে কোলাঘাট থানার পুলিশ। এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ওই তরুণীর সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল কোলাঘাটের মিহিটিগড়ি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় মোটরবাইক শোরুমের এক ফিনান্স এজেন্টের। তাঁদের বিয়ের পর থেকে নির্বিঘ্নেই সংসার চলছিল।
স্বামীর দাবি, ২৩ ডিসেম্বর সকাল থেকে তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ। ওই দিন সকালে দাসপুর এলাকায় মামার বাড়িতে পিকনিকে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যান স্ত্রী। সন্ধ্যা নাগাদ কেক নিয়ে ফেরার কথা ছিল তাঁর। স্ত্রী বাড়ির বাইরে যাওয়ার পর আরপাঁচটা দিনের মতোই নন্দীগ্রামে নিজের কাজে যান তিনি। রাতে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে তাঁকে ফোনও করেন। তবে স্ত্রীর ফোন সুইচড অফ করা ছিল। এর পর শ্বশুরবাড়ি-সহ সমস্ত জায়গায় খোঁজ করেও স্ত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও এক দিন এ ভাবে কাটার পর অগত্যা ২৫ ডিসেম্বর কোলাঘাট থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবক। এর পর আরও দু’দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তবে ওই তরুণীর বিষয়ে কোনও তথ্যই জোগাড় করতে পারেনি পুলিশ। ওই দম্পতির নামও প্রকাশ্যে আনেনি তারা। কোলাঘাট থানার ওসি ইমরান মোল্লা বলেন, ‘‘রবিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর স্বামী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও তথ্য পুলিশের হাতে আসেনি। মহিলা স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা জড়িয়ে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”