শিশুর বাবার অভিযোগ, কত শিশুকে এ ধরনের টিকা দেওয়া হয়েছে, তার কোনও তথ্য দেননি কর্তৃপক্ষ। প্রতীকী ছবি।
ছ’মাসের এক শিশুকে মেয়াদ উত্তীর্ণ টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শান্তিপুরের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে এই মর্মে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই শিশুটির পরিবার। যদিও এ নিয়ে ভুল স্বীকার করেছেন ওই চিকিৎসাকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। গোটা কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নদিয়া জেলার স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা করে তাঁর প্রতিক্রিয়া জোগাড়ের চেষ্টা করেছে আনন্দবাজার অনলাইন। তবে ওই চিকিৎসকের দেখা মেলেনি।
শান্তিপুর পুরসভার বাসন্তীতলা এলাকার বাসিন্দা কুন্তল রায় জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে এলাকার একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে তাঁর ছ’মাসের শিশুপুত্র কিশান্ত রায়ের টিকাকরণের জন্য সস্ত্রীক গিয়েছিলেন তিনি। ‘শান্তিপুর মেডিক্যাল কেয়ার’ নামে ওই চিকিৎসাকেন্দ্রে কিশান্তকে দু’টি টিকা দেন সেখানকার চিকিৎসক সুমন সরকার। কুন্তলের অভিযোগ, পরে সেই ভ্যাকসিন কার্ডে তিনি দেখতে পান, যে দু’টি টিকা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটির মেয়াদ ১০ মাস আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ করলে ফ্রিজে থাকা সমস্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ টিকা সরিয়ে ফেলেন চিকিৎসাকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। কুন্তল বলেন, ‘‘যখন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, তখন বুঝতে পারিনি। পরে নথিপত্র খতিয়ে দেখি, ১০ মাস আগে টিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। ভবিষ্যতে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে, তা ভেবেই ভয় লাগছে। এই নার্সিং হোমের সরকারি সমস্ত অনুমোদন বাতিল করা উচিত।’’
কুন্তলের দাবি, কত শিশুকে এ ধরনের টিকা দেওয়া হয়েছে, তার কোনও তথ্য দেননি কর্তৃপক্ষ। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে কিশান্তের পরিবার।
গোটা কাণ্ডে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন নদিয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ দাস। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। তবে অন্য মাধ্যম থেকে খবর পেয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারকে এ বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি।’’