Suvendu Adhikari

‘পারমিশন আছে আপনাদের?’ শুভেন্দুর প্রশ্নে থতমত পুলিশকর্মীরা ছাড়লেন বিধানসভা চত্বর

সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম অর্ধ শেষের পর ধর্মতলায় আয়োজিত সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) আদায়ের দাবিকে সমর্থন জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। দাবি মঞ্চ থেকে হেঁটেই বিধানসভায় ফিরছিলেন শুভেন্দু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪৪
Share:

পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, আপনারা কারা? তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনী? বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি কে দিয়েছে আপনাদের? — ফাইল চিত্র।

বিধানসভায় বিনা অনুমতিতে পুলিশবাহিনী কেন? তা-ও আবার উর্দিহীন অবস্থায় হাতে গুন্ডা পেটানো লাঠি নিয়ে! এমনটাই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম অর্ধ শেষের পর ধর্মতলায় আয়োজিত সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) আদায়ের দাবিকে সমর্থন জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। দাবি মঞ্চ থেকে হেঁটেই বিধানসভায় ফিরছিলেন শুভেন্দু। বিধানসভায় প্রবেশের পরেই দেখতে পান কয়েক জন উর্দিহীন পুলিশকর্মীকে। হাতে লাঠি থাকা ওই পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, আপনারা কারা? তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনী? বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি কে দিয়েছে আপনাদের? যদিও তার সঙ্গে কথা না বাড়িয়ে ওই পুলিশকর্মীরা বিধানসভা চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান।

Advertisement

পরে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, ‘‘এ ভাবে কোনও রকম পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারে না। অথচ ওখানে যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের কাছে কোনও রকম পরিচয়পত্র ছিল না। আর গুন্ডাদের পেটানোর লাঠি ছিল তাদের হাতে।’’ বিধানসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের কর্মীরা সাদা পোশাকে নিরাপত্তার কাজে মোতায়েন ছিলেন। এবং তাদের সঙ্গে পরিচয়পত্র ছিল। বিজেপি পরিষদীয় দলের দাবি, বিধানসভায় প্রবেশ করতে গেলে প্রত্যেকের পরিচয়পত্র আবশ্যিক হয়। এবং অধিবেশনের সময় সেই পরিচয়পত্রগুলি গলায় ঝুলিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ওই ব্যক্তিদের গলায় কোনও রকম পরিচয়পত্র ছিল না। তাই সন্দেহবশত তাদের উদ্দেশে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা।

নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর অভিযোগ, চলতি বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের জন্য বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিধানসভার বাইরে বসতে হয়। তাদের যদি বাইরে বসতে হতে পারে, তা হলে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা পেটানোর দায়িত্ব থাকা পুলিশকর্মীদেরও বাইরেই বসা উচিত। তবে বিজেপি পরিষদীয় দলের এমন মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাননি তৃণমূল বিধায়কেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement