আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন নওশাদ। জানান, এই আন্দোলন কলকাতা থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও। —নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা থেকে হেঁটে সরকারি কর্মচারীদের ধর্নামঞ্চে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার তার কিছু ক্ষণ পর আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানাতে ধর্মতলার শহিদ মিনারের কাছে ধর্নামঞ্চে হাজির হলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন তিনি। জানান, এই আন্দোলন কলকাতা থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও।
বাজেট অধিবেশনের সময় জেলেই কাটাতে হয়েছে ভাঙড়ের বিধায়ককে। সোমবার তিনি বিধানসভা যান। সেখান থেকে বেরিয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য চলে যান শহিদ মিনার চত্বরে। সেখানে বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থার খবরাখবর নেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। ওঁদের পরামর্শ দেওয়ার মতো কিছুই নেই। তবে বলব, নিজেদের দাবি বুঝে নিতে হবে। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ভাবে এবং গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করুন।’’
নওশাদের সংযোজন, ‘‘এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে। আগামিদিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। বৃহত্তর আন্দোলন করতে হবে। তবে সেটা কোন উপায়ে হবে, সেটা আমার থেকে ভাল মাস্টারমশাইরা জানেন। আন্দোলনরত সরকারী কর্মচারীরা ভালই জানবেন।’’
প্রসঙ্গত, ৩৯ দিনে পড়েছে বকেয়া ডিএ-এর দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন। অনশন করে একাধিক আন্দোলনকারীর অসুস্থতার খবর মিলেছে। সোমবার এক আন্দোলনকারীর কথায়, ‘‘আসলে সরকারেরও সমর্থন রয়েছে এই আন্দোলনে। তাই তাদের তরফে এই অনশন তোলার জন্য কোনও রকম পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না।’’
এর মধ্যেই বকেয়া ডিএ প্রদান, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি দফতরে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবিতে আগামী ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি।