বুধবার পুরুলিয়ায় বিজেপির মঞ্চে মিঠুন। — নিজস্ব চিত্র।
ইদানীং প্রায় সব সময়েই টুপি পরতে দেখা যাচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ বিজেপির হয়ে প্রচারে এসে পুজোর সময়েও কালো টুপি পরে ঘুরেছিলেন। কিন্তু এ বার একেবারে অন্য রূপে— মেরুন রঙের একটি টুপি পরতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে বিজেপির সভায়। সেই টুপি অনেকটা কমিউনিস্টদের আইকন হিসাবে খ্যাত চে গেভারার টুপির মতো। তবে চে-র টুপিতে থাকত তারার চিহ্ন আর মিঠুনের টুপিতে রয়েছে উড়ন্ত ঈগল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে মিঠুনকে রাজ্যে নিয়ে এসেছে বিজেপি। বুধবার থেকে তাঁর টানা কর্মসূচি শুরু হয়েছে একের পর এক জেলায়। বুধবার পুরুলিয়ার পরে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায়। আরও তিনটি কর্মী সম্মেলনে তাঁর হাজির থাকার কথা। এখনও পর্যন্ত দু’দিনই মিঠুনের মাথায় দেখা গিয়েছে সেই টুপি। রাম বিজেপির প্রচারে কি তবে বাম আইকনের টুপির অনুকরণ? এমন প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিজেপি অবশ্য অন্য কথা বলছে। মিঠুনকে এমন টুপি পরে প্রথম বার দেখা যায় পুরুলিয়ায়। স্থানীয় সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোর কাছ থেকে পুষ্পস্তবক নিচ্ছেন। সেই জ্যোতির্ময় বলেন, ‘‘মিঠুন চক্রবর্তী নিজেই এক জন আইকন। তিনিই ব্র্যান্ড। দীর্ঘ কাল ধরে ওঁর পোশাক সবাই নকল করেছেন। সুতরাং, যাঁরা তুলনা টানছেন তাঁরা ঠিক করছেন না।’’
আসন্ন ছবিতে মিঠুনের চরিত্রের নাম হবে ইয়েদা ভগত। ইন্সটাগ্রাম
কিন্তু এমন টুপি মিঠুন কেন বাছলেন? আসলে খুব তাড়াতাড়ি মিঠুনের একটি ছবি আসতে চলেছে। সেখানে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছেন জ্যাকি শ্রফ, সঞ্জয় দত্ত এবং সানি দেওল। ছবির নাম এখনও চূড়ান্ত না হলেও মুখ্য চরিত্রদের ফার্স্ট লুক প্রকাশ পেয়েছে। পরিচালক বিবেক চৌহানের সেই ছবির ফার্স্ট লুক পোস্ট করে জ্যাকি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘‘শুটিংয়ে ধামাকা, কিন্তু অটুট বন্ধুত্ব।’’
ছবিতে মিঠুনের সঙ্গে অভিনয় করেছেন জ্যাকি শ্রফ, সঞ্জয় দত্ত এবং সানি দেওল। ইন্সটাগ্রাম
সেই ছবির মতো করেই যে মিঠুন টুপি বেছেছেন সেটা বলছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরাও। ‘মহাগুরু’র এক সহকারী বলেন, ‘‘দাদা অনেক সময় ধরে এই ছবির শুটিং করেছেন। তখন থেকেই এই টুপিটা পছন্দ হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই উনি সব সময় টুপি পরতে পছন্দ করেন। এ বার এই টুপিটা পরেছেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই।’’ তবে কি রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ছবির প্রচারও কিছুটা সেরে নিতে চাইছেন মিঠুন। জেলা সফরে থাকা রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির অভিনেতা সদস্যের সঙ্গে নানা ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা যায়নি।