কবর থেকে দেহ তোলার ঘটনা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশ একটি টুইট করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে শনিবার আনিস খানের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তুলতে গিয়েছিলেন সিটের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেটও। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাঁদের কাজে বাধা দেওয়া হয়।’
ফাইল চিত্র।
দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত করা হবে বলে শনিবার সাতসকালে কবর থেকে আনিস খানের দেহ তুলতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু প্রবল বিক্ষোভের মুখে ফিরে আসতে হয় তাদের। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের পাশেই দাঁড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশ যা করেছে তা আদালতের নির্দেশ মেনেই। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের কোনও হাত নেই।’’
কবর থেকে দেহ তোলার ঘটনা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশ একটি টুইট করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে শনিবার আনিস খানের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তুলতে গিয়েছিলেন সিটের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেটও। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাঁদের কাজে বাধা দেওয়া হয়।’
পুলিশের ওই বক্তব্যকে সমর্থন করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার ভোরে আদালতের নির্দেশ মেনে পুলিশ কবর থেকে দেহ তুলতে যায়। যা হচ্ছে আদালতের নির্দেশ মেনেই হচ্ছে। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের কোনও হাত নেই। পুলিশ আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ করছে।’’
যদিও আনিসের বাবা সালেম খানের দাবি, ‘‘আমি আদালতের রায় অমান্য করিনি। আদালতের রায় অনুযায়ী দেহ তোলা হবে। সিট-এর সদস্যদের জানিয়েছিলাম, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি হতে পারি। সেই জন্য সময় চাইছি।’’ কিন্তু তার পরেও পুলিশ কেন দেহ তুলতে এসেছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।