টুইটে বলা হয়েছে, ‘মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে শনিবার আনিস খানের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তুলতে গিয়েছিলেন সিটের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেটও। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাঁদের কাজে বাধা দেওয়া হয়।’
আনিসের দেহ কবর থেকে তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শনিবার ভোরে। তার পরই টুইট করে এই ঘটনায় আদালতের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগ তুলল রাজ্য পুলিশ। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে শনিবার আনিস খানের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তুলতে গিয়েছিলেন সিটের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেটও। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাঁদের কাজে বাধা দেওয়া হয়।’
টুইটে রাজ্য পুলিশ আরও জানিয়েছে, হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আনিস খান মামলায় তদন্ত করছে সিট। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই তদন্তকে বিলম্ব এবং বিচ্যুত করার উদ্দেশ্যে আমতা থানা এবং পুলিশ সুপারের অফিসে হিুংসাত্মক বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।
দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার ভোরে আনিসের দেহ আনতে গ্রামে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেখানে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। ফলে আনিসের দেহ না তুলেই ফিরে যেতে বাধ্য হয় পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী, পরিবারের তরফে আনিসের বাবা বা অন্য কোনও সদস্যের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা। সেখানে ছিলেন স্থানীয় বিডিও এবং বিএমওএইচ। মাইকিং করে জানানো হয়, আনিসের দেহ তোলা হবে। তার পরেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। আনিসের আত্মীয়-প্রতিবেশী এবং গ্রামবাসীরা জমায়েত হয়ে অভিযোগ করেন, আগে আনিসের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে পুলিশের। তাঁরা সোমবার দেহ নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তা হলে শনিবার ভোরে কেন পুলিশ এল?
আনিসের বাবা সালেম খান বলেন, ‘‘আমি আদালতের রায় অমান্য করিনি। আদালতের রায় অনুযায়ী দেহ তোলা হবে। সিট-এর সদস্যদের জানিয়েছিলাম যে, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি হতে পারি। সেই জন্য সময় চাইছি।’’ কিন্তু তার পরেও পুলিশ কেন দেহ তুলতে এসেছিল, প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই সঙ্গে সালেমের দাবি, আনিসের দেহ চুরি করার উদ্দেশ্যেই সরকারি আধিকারিকরা এসেছিলেন।