Sanjay Roy Punishment

তাঁর ছেলের ফাঁসির শাস্তি হয়নি, হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড! জানতে পেরে কী বললেন সঞ্জয়ের মা?

সঞ্জয়ের পাড়ায় সকাল থেকেই সাংবাদিকদের আনাগোনা। তাঁর মা মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন বলে জানান প্রতিবেশীরা। তিনি দরজা না-খুললে বাইরে থেকেই তাঁর ছেলের শাস্তির কথা জানানো হয়।

Advertisement

অমিত রায়

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১৮
Share:

(বাঁ দিকে) আরজি করের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়। শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে তাঁর বাড়ি (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ফাঁসির শাস্তি হয়নি। আরজি করের ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। সোমবার বিকেলে নিম্ন আদালতের এই রায় শুনে সঞ্জয়ের মায়ের কী প্রতিক্রিয়া? জানতে ৫৫বি, শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে ভিড় জমেছিল। কিন্তু সকাল থেকেই সঞ্জয়ের মা বাড়ির দরজা বন্ধ করে রেখেছেন। এক বারের জন্যেও তিনি দরজা খোলেননি। বাইরে থেকে তাঁকে আদালতের নির্দেশের কথা বলা হলেও তিনি নিরুত্তাপ।

Advertisement

সঞ্জয়ের পাড়ায় সকাল থেকেই সাংবাদিকদের আনাগোনা। বিচারক মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিন, অনেকেই তা চাইছিলেন না। শাস্তি ঘোষণার পর তাঁরা খুশি। প্রতিবেশীরা বলছেন, ‘‘তদন্তে অনেক ফাঁক রয়েছে। ছেলেটা প্রাণে তো বেঁচে গেল।’’ ছোট থেকে সঞ্জয়কে যাঁরা দেখছেন, তাঁরাও অনেকে দাবি করছেন, এই কাজ সঞ্জয়ের দ্বারা সম্ভব নয়। কখনও কোনও মহিলার সঙ্গে তাঁকে অসঙ্গত আচরণ করতে দেখা যায়নি বলেও দাবি প্রতিবেশীদের একাংশের।

সঞ্জয়ের মা মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন বলেই জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। মাঝেমধ্যেই তিনি অসংলগ্ন কথা বলেন। বাড়িতে মায়ের সঙ্গেই থাকতেন সঞ্জয়। আরজি করের ঘটনার পর থেকে তাঁর মা একা থাকছেন। এ ছাড়া, সঞ্জয়ের তিন দিদি রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কেউ বাড়িতে আসেন না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সকাল থেকেই শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে সঞ্জয়ের বাড়ির গলি ছিল থমথমে। রায় নিয়ে তেমন কোনও তাপ-উত্তাপ দেখা যায়নি। সঞ্জয়ের মা সকাল থেকে বাড়ির ভিতরেই। তিনি দরজাও খোলেননি। ভিতর থেকে তাঁর কোনও সাড়াও মেলেনি। শাস্তি ঘোষণার পর সঞ্জয়ের বোন পূজা রায় ফোনে আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, "আমি এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে বলতে ক্লান্ত। বিচারক যা ভাল বুঝেছেন, করেছেন। তবে আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নই।"

আরজি কর মামলায় সঞ্জয়কে আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস সোমবার বিকেলে জানান, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩(১)— তিনটি ধারাতেই সঞ্জয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। আমৃত্যু তাঁকে জেলেই থাকতে হবে। এই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে মনে করেননি বিচারক। সেই কারণেই সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়নি।

(ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনায় যত ক্ষণ না অভিযুক্তকে ‘দোষী’ সাব্যস্ত করা হচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁর নাম, পরিচয় প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। আনন্দবাজার অনলাইন সেই নিয়ম মেনেই আরজি কর পর্বের প্রথম দিন থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের নাম বা ছবি প্রকাশ করেনি। শনিবার আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করায় আমরা তাঁর নাম এবং ছবি প্রকাশ করা শুরু করছি।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement