Justice Abhijit Gangopadhyay

কী হচ্ছে, কী হবে, বুঝতে বুঝতে দিন গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের! চাপের দিনে মুখে তুললেন কী কী

দুপুর ২টো ২২ মিনিটে তিনি যখন এজলাসে বসেন, তখন সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলায় নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে। ঘণ্টা খানেকের একটু বেশি এজলাসে ছিলেন।

Advertisement

ভাস্কর মান্না

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:৫৭
Share:

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

দুপুরের খাবার খেয়েই তিনি আদালতে যান সাধারণত। শুক্রবারও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মধ্যাহ্নভোজ সেরে হাই কোর্টে এসেছিলেন। দুপুর ১২টা নাগাদ সুপ্রিম কোর্ট যখন প্রথম নির্দেশটি দেয়, তখন তিনি আদালতেই। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, গত বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁর শিরোনামে থাকা দিনগুলির থেকে, এই দিনের শিরোনাম বা শিরোনামগুলি অনেকটাই ভিন্ন সুর, তাল, লয়ে চলতে পারে। হলও তা-ই। সব দিন তো এক যায় না! এক একটা দিন দারুণ রঙিন হয়। এক একটা দিন উঁচুনিচু। এক একটা দিন ঝড়ও ওঠে। ‘‘বন্ধ খাঁচায় পাখি ডানা ঝাপটায়’’। এটা জীবনের নিয়ম। এবং এই জীবনের নিয়মেই, ঝড়ঝাপ্টার দিনেও মানুষকে সময় বার করে খেয়ে নিতে হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা আদালতে থাকাকালীন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও টুকটাক খাওয়াদাওয়া করেছেন।

Advertisement

দুপুর ২টো ২২ মিনিটে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যখন এজলাসে বসেন, তখন সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলায় নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে। ঘণ্টাখানেকের একটু বেশি এজলাসে ছিলেন। সাড়ে ৩টে নাগাদ ঢুকেছিলেন নিজের ৬ তলার চেম্বারে। তার পর সেখানেই ছিলেন ৬ ঘণ্টার মতো। মাঝে কয়েক বার বাইরে বেরোলেও, বিচারপতি প্রায় পুরো সময়টাই নিজের চেম্বারে থেকেছেন। কিছু ক্ষণ অন্তর খেয়েছেন চা কিংবা কফি।

সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো তাঁর টিভি সাক্ষাৎকারের প্রতিলিপি চেয়ে শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। নির্দেশে বলেছিলেন, তিনি প্রয়োজনে রাত সওয়া ১২টা পর্যন্ত হাই কোর্টে থাকবেন। যদিও সে প্রয়োজন পড়েনি। সুপ্রিম কোর্ট রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয়। তার মিনিট ৪৫ আগে একবার হালকা খাবার খেয়ে নিয়েছেন তিনি।

Advertisement

পৌনে ৭টা নাগাদ বিচারপতি জানান, তিনি মুড়ি খাবেন। নারকেলকুচি, বাদাম দিয়ে মাখা মুড়ি পাঠানো হয় তাঁর চেম্বারে। ১০ মিনিটের মধ্যেই। তার পর অবশ্য আদালতে থাকাকালীন চা-কফি খেয়েছেন কয়েক বার। বিচারপতিকে যাঁরা কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা বলেন, প্রতি দিন ‘একটু বেশিই চা বা কফি খান তিনি’। সময় বিশেষে বাদাম কিংবা মুড়ি থাকে তাঁর কাজের ফাঁকে মুখ চালানোর জন্য। আর মাঝে মাঝে থাকে কেক।

শুক্রবার চাপের দিনেও সেই নিয়ম বিশেষ বদলায়নি। অন্যান্য দিনের মতো যথা সময়ে পরিচিত খাবারই খেয়েছেন। রাত পৌনে ১০টা নাগাদ আদালত ছেড়ে বেরোন।

একটা ‘ঝোড়ো দিন’ গেল। রাতে ‘ডিনার’ খেতে খেতে তাঁর কি মনে হচ্ছিল, মাঝে মাঝে, ‘‘এই ঝড় দরকারি’’?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement