—প্রতীকী চিত্র।
ব্রুসেলা ঘিরে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ল রাজ্যে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে আরও এক জনের মৃত্যু হল। গত রবিবার কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার (৩৯)। তাঁর বাড়ি হুগলিতে।
সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হয় গবাদি পশুরা। তারই সংক্রমণ ঘটছে মানবশরীরে। যা চিন্তায় ফেলেছে। রবিবার ব্রুসেলায় আক্রান্ত হয়ে যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে, তিনি পেশায় প্রাণিবন্ধু ছিলেন। গবাদি পশুদের ব্রুসেলার টিকা দিতেন তিনি। সেই থেকেই তাঁর শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রায় তিন মাসে টিকা দিতে গিয়ে প্রতিষেধকের ভায়াল ভেঙে গিয়েছিল। তার সংস্পর্শে এসেছিলেন ওই মহিলা। তার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। শেষে ভর্তি করানো হয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। সেখানে রবিবার মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসাবে শংসাপত্রে ব্রুসেলা লেখা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাণিসম্পদ বিকাশ কর্মী উন্নয়ন রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রাণিমিত্রদের গ্লাভস, মাস্কের মতো সরঞ্জাম দেওয়া হয় না। ফলে টিকাকরণের সময় তাঁরা সুরক্ষিত থাকেন না। সম্প্রতি অনেক প্রাণিমিত্র উপযুক্ত ভাতা, সুরক্ষা ইত্যাদির দাবিতে ব্রুসেলা কর্মসূচিতে অংশ নেননি বলেও জানিয়েছেন সৌমিত্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি প্রাণিবাহিত রোগ। তাই প্রাণিবন্ধুদের সুরক্ষার দিকে জোর দেওয়া দরকার।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলা যে হেতু প্রাণিমিত্র ছিলেন, তাই তাঁর ব্রুসেলা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ হয়। সেই মতো পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। মহিলার ফুসফুসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত এই রোগে ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়ায় না। তবে এই মহিলার ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও মহিলার পিঠে, কোমরে ব্যথা ছিল। গত বছরও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছিল।