শীতের সকালে চা পাতা তুলতে ব্যস্ত চা শ্রমিকেরা। মাঝেরডাবরি চাবাগানে। ছবি নারায়ণ দে
মাঘের মাঝমাঝিতে ধুন্ধুমার শীত থাকলেও ফের একটি ঝঞ্ঝা পূর্ব ভারতের দিক থেকে আসায় মঙ্গলবার থেকে শীতের দাপট কিছুটা কমবে। আকাশে মেঘ ঢুকতে থাকায় দিনের তাপমাত্রা কমলেও ব্যাহত হবে রাতের পারদ পতন। সেই সঙ্গে বাধা পাবে উত্তুরে হাওয়া। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সরস্বতী পুজোর পর ফের ফিরতে পারে শীত। আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.২ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে যা তিন ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪.১, যা-ও স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি নিচে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের দু’একটি জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে। উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স এলাকায় ঠান্ডার দাপট ছিল বেশি। রবিবার শিলিগুড়ি, কোচবিহারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫-৬ ডিগ্রির কাছে নেমে যায়। গাঙ্গেয় বঙ্গকেও কাঁপিয়ে দিচ্ছে শীত। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার শিলিগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৪ ডিগ্রি। কোচবিহারে ৫.৬ ডিগ্রি। জলপাইগুড়ি সামান্য বেশি। তবে সেখানেও (৬.৫ ডিগ্রি) হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে শীত।
তবে, চলতি সপ্তাহেই কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে বৃষ্টিও। তবে সরস্বতী পুজোতেও বৃষ্টি হবে কি না, সেই বিষয়ে দ্বিমত আছে আবহবিদদের। আবহবিদদের একাংশ বলছেন, শুক্রবারেই বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।
কলকাতা সন্নিহিত দমদম ও সল্টলেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রবিবারই নেমে গিয়েছে ১১.৮ ডিগ্রিতে। ব্যারাকপুরে রাতের তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি। গাঙ্গেয় বঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে কনকনে শীত। পুরুলিয়ায় রাতের তাপমাত্রা আট ডিগ্রি ছুঁয়েছে। ৮-৯ ডিগ্রির কাছেপিঠে রয়েছে শ্রীনিকেতন, পানাগড়ের মতো পশ্চিমী এলাকা।
কিন্তু শীতের পরাক্রমে হঠাৎ ভাটা পড়ার আশঙ্কা কেন? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শীত যে এ বার কখনও দোর্দণ্ডপ্রতাপ, কখনও কোণঠাসা তার পিছনে মূলত পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।