ফের এমন দৃশ্য দেখা যাবে স্কুলগুলিতে?
করোনা বিধি মেনে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল রাজ্যের শিশু চিকিৎসকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন অব পেডিয়াট্রিক্স। সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা মনে করছেন, শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়, শিশুদের মানসিক এবং আচরণগত বিকাশের ক্ষেত্রেও স্কুলের পরিবেশ জরুরি ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা এবং খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।
করোনা অতিমারির শুরু থেকেই বন্ধ স্কুলগুলি। পড়াশোনা থেকে পরীক্ষা— সবই চলছে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। নানা অসুবিধার কারণে অনেকেই অনলাইন ক্লাসের সুযোগ পাচ্ছে না। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেও স্কুল জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। মাঝে অল্প সময়ের জন্য দু’বার স্কুল খোলা হলেও ভাইরাসের দাপটে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত মৃদু উপসর্গ দেখা দেয় করোনার। চিঠিতে পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত ২.৫-৩ শতাংশের কম শিশুর দেহে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে এই ভাইরাস। পশ্চিমবঙ্গে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ০.০৮%। স্কুল খুললে এই পরিসংখ্যানে কোনও হেরফের হবে না বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
শুধু স্কুলই নয়, করোনা বিধি মেনে শিশুদের জন্য পার্ক এবং খেলাধূলা করার অন্যান্য জায়গাগুলিও খোলার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। তবে যে শিশুদের কোনও দীর্ঘস্থায়ী অসুখ বা কো-মর্বিডিটি আছে, তাদের স্কুলে পাঠানোর আগে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের কোভিড টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইতিমধ্যেই স্কুল খোলার দাবিতে বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীরা। চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, করোনা বিধি মেনে খুলে দেওয়া যেতে পারে স্কুলগুলি। অতীতেও এই একই আবেদন জানিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল মনোবিদদের সংগঠন। এ বার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে এল রাজ্যের শিশু চিকিৎসকদের সংগঠন।