—ফাইল চিত্র।
তাপ-যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ বাংলার জন্য অবশেষে আশার খবর! গায়ে ফোস্কা পড়া তাপপ্রবাহ থেকে কবে নিষ্কৃতি মিলতে চলেছে, জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাস মিলে গেলে চলতি সপ্তাহেই ‘স্বস্তি’ পেতে পারেন বঙ্গবাসী।
দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছিল এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। তবে কলকাতায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয় তার দিন কয়েক পরে, ১৯ এপ্রিল থেকে। গত এক সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছিল হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার অবশ্য আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের তীব্রতা কমতে চলেছে। শনিবার থেকেই তাপপ্রবাহের তীব্রতা কমবে দক্ষিণবঙ্গে। রবিবার থেকে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উপকূলবর্তী এলাকায় বন্ধ হবে তাপপ্রবাহ।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উপকূলবর্তী এই জেলাগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর। রবিবারের পর থেকে সেখানে আপাতত আর তাপপ্রবাহের সতর্কতা নেই। দক্ষিণবঙ্গের বাকি আটটি জেলা অর্থাৎ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ এবং দুই বর্ধমানে তাপপ্রবাহ বন্ধ না হলেও রবিবার থেকে তীব্রতা অনেকটাই কমবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। আবহবিদদের অনুমান, ক্রমে এই জেলাগুলিতেও তাপপ্রবাহ বন্ধ হবে।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর এবং মালদহে। শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কতা না থাকলেও জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর এবং মালদহে অস্বস্তিকর গরম থাকবে। শনিবার থেকে অবশ্য গরম কমবে উত্তরবঙ্গে। রবি এবং সোমবার উত্তরবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় তাপপ্রবাহ বন্ধ হলেও সোমবারও অস্বস্তিকর গরম থাকবে। রবি এবং সোমবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টির পর গরম কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, টানা তাপপ্রবাহের এই পরিস্থিতি গত দেড় দশকে তৈরি হয়নি রাজ্যে। এই মরসুমে ন’দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গে। এর আগে ন’দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল ২০০৯ সালে।