West Bengal Govt

Road: বর্ষায় খারাপ রাস্তা মেরামতিতে রাজ্য

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর ইতিমধ্যে ৩২৯ কোটি টাকা রাস্তা সারাইয়ের জন্য বরাদ্দ করে দিয়েছে অর্থ দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২১ ০৭:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

বর্ষা মিটতে না মিটতেই প্রায় প্রতিটি জেলায় বহু রাস্তার স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করেছে। পূর্ত দফতরের হিসেবে এমন প্রায় ৪৫০টি খারাপ রাস্তাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তিনটি ধাপে পুজোর আগে থেকেই রাস্তা সারাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর ইতিমধ্যে ৩২৯ কোটি টাকা রাস্তা সারাইয়ের জন্য বরাদ্দ করে দিয়েছে অর্থ দফতর।

Advertisement

জেলা ও শহরের মূল রাস্তা, রাজ্য সড়ক, পূর্ত দফতরের রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় থাকা জাতীয় সড়কগুলি এই আর্থিক বছরে মেরামত পরিকল্পনার আওতায় এনেছে পূর্ত দফতর। তিনটি ধাপে এই কাজ করা হবে বলে দফতর সূত্রের খবর। প্রথম ধাপে পুজোর আগে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ও শহরের রাস্তাগুলির ক্ষত মেরামত হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, বর্ষা মিটে গেলে বড় পরিসরের খারাপ রাস্তাগুলি সারাইয়ের কাজ শুরু হবে। তৃতীয় ধাপে চার লেন পর্যন্ত জাতীয় সড়ক, যে গুলি রাজ্য সরকার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে, সে গুলির কাজে হাত দেবে দফতর। কর্তারা জানাচ্ছেন, বন্যার জলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫৭টি রাস্তা ইতিমধ্যেই সারিয়ে ফেলা গিয়েছে। পাশাপাশি, প্রায় ১২০০ কিলোমিটার রাস্তা সারাই করে গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

দফতরের এক কর্তার কথায়, “বন্যা পরিস্থিতিতে অনেকগুলি রাস্তায় খুব ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় এখনও জল নামেনি। এর ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সে গুলিতেও কাজ হবে।”

Advertisement

দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় রাস্তার বড় কাজ করা হয় না। কারণ, বৃষ্টির জলে বিটুমিন জমাট না বাঁধায় রাস্তা দু্র্বল হয়ে যায়। তাই বর্ষা শেষ হলে পুজোর পরে বড় রাস্তাগুলির মেরামতির কাজ শুরু করা হবে। পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটকের দাবি, রাস্তার খাতে দফতরের বাজেটে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ধরা রয়েছে। ফলে সড়ক পরিকাঠামো যথাযথ রাখার প্রশ্নে যে কাজ করা দরকার, তা করতে বাধা থাকবে না। মন্ত্রীর বক্তব্য, “কাজের ক্ষেত্রে টাকা কোনও বাধা হবে না। বর্ষা দেরিতে শেষ হওয়ার কারণে রাস্তার কাজ করা যাচ্ছিল না। প্রায় সব কাজের দরপত্র (টেন্ডার) হয়ে গিয়েছে। সেই কাজ করে সড়ক পরিকাঠামো সুগম রাখতে বদ্ধপরিকর সরকার।”

তৃতীয় পর্যায়ে রাজ্যের রক্ষণাবেক্ষণে থাকা জাতীয় সড়ক মেরামতির বকেয়া কাজ শুরু করবে দফতর। শিলিগুড়ি-কালিম্পং, শিলিগুড়ি-দার্জিলিং, বাঁকুড়ায় জাতীয় সড়ক ৬০, পাঁশকুড়া-ঘাটাল সড়কের কাজ ৯ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তা ছাড়া জাতীয় সড়ক ২-এর ডানকুনি-পালসিট এবং বেলঘরিয়ার দিকের রাস্তা খারাপ অবস্থায় রয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে কথাও হয়েছে রাজ্যের। সেগুলিতে সারাইয়ের কাজ দ্রুত শুরু হবে। মলয় ঘটকের কথায়, “চার লেন পর্যন্ত জাতীয় সড়কগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে রাজ্য। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সেই বাবদ অর্থ দিয়ে দেয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement