—ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, সেই নিয়ে পুলিশ কমিশনার, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের চিঠি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে বুথে বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না, সেই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। শুক্রবার চিঠি দিয়ে বাহিনী ব্যবহারের রূপরেখা বাতলে দিয়েছে কমিশন। আগেই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে রাজ্যে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কেন্দ্রের কাছ থেকে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে কমিশন। তার মধ্যে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ওই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর জওয়ানরা আসতে শুরু করেছেন রাজ্যে। এই আবহে বাহিনীকে কী ভাবে কাজে লাগানো হবে, তা নিয়ে চিঠি দিল কমিশন।
চিঠিতে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই বাহিনীকে নাকা চেকিং, টহলদারির কাজে লাগাতে হবে। গোটা জেলায় ভ্রাম্যমান বাহিনী (মোবাইল ফোর্স) হিসাবে ব্যবহার করতে হবে বাহিনীকে। ভোটারদের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর কাজও করবেন জওয়ানরা। এলাকা নিয়ন্ত্রণের কাজেও ব্যবহার করতে হবে বাহিনীকে। সীমান্ত এবং সীমানার চেকপয়েন্টে নজরদারির কাজেও লাগানো হবে।
আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে প্রথম থেকেই সরব ছিল বিরোধীরা। পরে এই নিয়ে আইনি লড়াইয়ে শামিল হয় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কমিশন। হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠায় কমিশন। অন্তত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৮২ হাজার জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্র।
শুক্রবার রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম, এডিজি (সশস্ত্র পুলিশ) তথা রাজ্যের তরফে বাহিনী সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার রাজেশ যাদব এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ।